পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১৮ কলিকাতা সেকালের ও একালের । কলিকাতায় থাকিতেন। টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে অভিযান ও মহারাষ্ট্ৰীয়যুদ্ধ ব্যাপারের জন্য, অধিকাংশ সময়ই র্তাহাকে দক্ষিণাত্যে রণক্ষেত্রে থাকিতে হইয়াছিল। कनिकांउीब्र भांखिभग्न बौवन ऊँiशब्र जांटो डांग লাগিত না । + কর্ণওয়ালিস্, তাহার পুত্র লর্ড ব্রোমারকে তাহার কলিকাত-বাস সম্বন্ধে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহার একাংশের সারমর্শ্ব এই—“কলিকাতায় থাকার সময়ে, আমাকে ঘড়ীর কাটার অধীন হইয়া কাজ করিতে হয়। প্রত্যেক দিন সুৰ্য্যোদয়ের প্রাক্কালে, আমি অশ্বারোহণে ময়দানে বেড়াইতে যাই। একই রাস্তা, একই দূরত্ব, একই দৃপ্ত দেখিয়া রোজ ঘুরিয়া আসিতে হয়। তাহার পর স্বৰ্য্যকিরণ প্রখর হইতে আরম্ভ হইলে আমি বাড়ীতে ফিরিয়া আসি। মধ্যাহ্নকালের সমস্ত সময়টাই, রাজকর্শ্বে অতিবাহিত হয় । তার পর মধ্যাহ্ন ভোজন। অবশেষে অপরাহ্নে ফিটনে করিয়া পুনরায় নগর-ভ্রমণ ও সান্ধবায়ু সেবন। ভ্রমণ হইতে প্রত্যাগমনের পর আমার কাছে সরকারী কাজের যে সমস্ত চিঠিপত্র ও ডেসপ্যাচ আসিয়াছে, তাহ পাঠ করা । তাহার পর রাত্রি নয়টার সময় আমার সহকারী ছুই তিনজন পদস্থ কর্মচারীকে লইয়া, রাত্রি-ভোজন বা সপার। য়াত্রি ভোজনের পর প্রতিদিন নিয়মিতরূপে দশটা রাত্রে আমি শয্যা আশ্রয় করি।” কলিকাতায় অতি স্বল্পকাল থাকিলেও তিনি কলিকাতার বাহিক উন্নতি ও সৌষ্ঠবসাধনে ক্রটি করেন নাই। সহরের মধ্যে যাহাতে শাস্তিরক্ষার মুবন্দোবস্ত হয়, নগরবাসীরা নিঃশঙ্কচিত্তে নিদ্রা যাইতে পারে, তাহার ব্যবস্থাও তিনি করিয়াছিলেন। তখন সহর কলিকাতায় ও ইহার উপকণ্ঠবৰ্ত্তী স্থান সমূহে, অর্থাৎ ভবানীপুর, আলিপুর প্রভৃতি স্থানে রাহাজানি ও ডাকাতি যেন নিত্যপ্রথা ছিল। ইহার পরিচয় পাঠক ইতিপূৰ্ব্বেই পাইয়াছেন। যাহাতে কলিকাতাবাসী বদমায়েস্বদের ও নরহন্তদের সম্পূর্ণরূপে দমন হয়, তজ্জন্ত তিনি কঠোর পুলিস পাহারার বন্দোবস্ত করেন। তাহার আমলেই বাঙ্গলায় দাস ক্রয়বিক্রয় প্রথার মূলোচ্ছেদের জন্য, প্রথম সরকারী আদেশ বাহির হয়। r = “ওল্ড-কোর্ট-হাউস” অর্থাৎ যে বাটতে মহারাজা নন্দকুমারের নামে জাল অপরাধের বিচার হয়, তাহা বর্তমান “কোটহাউস” পথের শেষাংশে, মুয়ার্ট কোম্পানীর বাড়ীর গাঙ্গেই ছিল। ১৭৯২ খৃঃ অঙ্কে লর্ড কর্ণওয়ালিসের