পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ অধ্যায় । ዓ¢¢ তারিখে ভাগলপুর ও ২১এ তারিখে মুঙ্গের অতিক্রম করেন। ২৬এ তারিখে দানাপুরে পৌছেন। ১০ই নবেম্বরে গাজিপুর অতিক্রম করিয়া ১৫ই নবেম্বরে বেনারসে পৌঁছেন। ৩রা ডিসেম্বরে, মির্জাপুর অতিক্রম করিয়া ১১ই তারিখে এলাহাবাদে উপস্থিত হন । তারিখগুলি দিবার কারণ এই, লাট-বাহাদুর কয়দিনে এক একটী নগর অতিক্রম করিয়াছিলেন, তাহা বুঝিতে পারা যাইবে । অবশ্য এই সময়ের মধ্যে লাট বাহাদুর অনেকস্থানে পদস্থ রাজা, মহারাজা বা সিবিল ও মিলিটারি কৰ্ম্মচারীদের আতিথ্য স্বীকার করিয়াছিলেন। ধরিতে গেলে, আগষ্ট হইতে আরম্ভ করিয়া ডিসেম্বর মাস পর্য্যস্ত কমবেশ পাচ মাসকাল লাট সাহেবকে জলপথে যাত্রা করিয়া এলাহাবাদ পৌছিতে হইয়াছিল। ১৮০৭ খ্ৰীঃ অব্দে খিদিরপুরের ডকের মধ্যে “জন শোর” বলিয়া একখানি ক্ষুদ্র ষ্টীমার ভাগিরথীতে ভাসান হয় । নদীপথে গমনাগমনই ইহার উদেশ্ব। কিন্তু এ চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হইয়া যায়। ১৮১৯ খৃঃ অন্ধে লক্ষে এর নবাবের ব্যবহার জন্ত, টিকেট বলিয়া একজন ইঞ্জিনিয়ার, একথানি ক্ষুদ্র “ষ্টীম-লঞ্চ” নিৰ্ম্মাণ করেন। এখানি ১৮৩৭ খ্ৰী: অব্দেও বর্তমান ছিল । উক্ত বৎসর লাট-সাহেব লর্ড অকল্যাণ্ড লক্ষ্মেণ ভ্রমণে যান । নবাব তাহার ব্যবহারের জন্য এই ষ্টীম-লঞ্চখানি দিয়াছিলেন । হুগলী নদীতে ১৮২৩ খ্ৰীঃ অব্দে প্রথম কলের ষ্টীমার চলাচল আরম্ভ হয়। সমসাময়িক কলিকাতা গেজেটে ( ১৪-৮-১৮২৩ ) এতৎ সম্বন্ধে নিম্নলিখিত বিবরণটী প্রকাশ হইয়াছিল। “বৰ্ত্তমানে এই ষ্টীমারখানি হুগলী নদীতেই ফেরির কাজ করিতেছে । এদেশীয় লোকেরা, কলের সহায়তায় জলের উপর জাহাজ চলিতেছে এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখিতে, নদীর উভয় উপকূলে সমবেত হইয়া, নিত্যই মহাজনত উপস্থিত করে। আমরা শুনিয়াছি—গত্য কল্য রবিবার এই ষ্টীমারখানি কতকগুলি যাত্রী লইয়া হুঁচুড়া পৰ্য্যন্ত গিয়াছিল।” এই ষ্টীমারের নাম “ডায়েনা” । ১৮২৭ খৃঃ অব্দে নদীর মধ্যে বড় জাহাজ টানিয়া লইয়া যাইবার জন্ত "পাইলট-ভেসেল” সম্বন্ধে এক রিপোর্ট সরকারে দাখিল হয়। এই সময়ে দুই একথানি জাহাজটানা-ট্টীমারও তৈয়ারি হইয়াছিল। “গ্যাঞ্জেস” নামক একখানি ষ্টীমার, সমুদ্রপথে বোম্বাই পৰ্য্যস্ত যাত্রা করিয়াছিল। প্রথম বৰ্খাযুদ্ধ সময়ে এই ষ্টীমারখানি, যুদ্ধের সরঞ্জাম বহিবার কার্য্যে নিয়োজিত হয় ।