বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(\రి oఈ কল্পদ্রুম। ছপ শব্দে ছুটিতে লাগিল। স্বৰ্য্যালোক দেখিয়া বৃদ্ধ পিতামহ দেহে প্রাণ পাইলেন। তখন তিনি হাসতে হাসতে কহিলেন “ বরুণ! কারখানাট। কি ? গর্তের মধ্যে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল কেন ? * বরুণ। আজ্ঞে এই হচ্চে জামালপুর টনাল অর্থাৎ অৰ্দ্ধ মাইল আন্দাজ পৰ্ব্বত খনন করিয়া তন্মধ্য দিয়া রেলরাস্তা প্রস্তুত করিয়া গাড়ি চালাইতেছে। ব্ৰহ্মা । য় j ! বল কি পৰ্ব্বত খনন করিয়া রেলরাস্ত প্রস্তুত করেছে। ইহাদের ত অসাধ্য কাজ নাই, ইহারা সব পারে। এদিকে টে,ণ বরিয়ারপুর ষ্টেষণ অতিক্রম করিয়া মুলতান গঞ্জে আসিয়া “উপস্থিত হইলে ব্ৰহ্মা কহিলেন “ বরুণ এস্থানের নাম কি ? ” বরুণ। এই স্থানের নাম সুলতানগঞ্জ। এই স্বলতানগল্পেই জয় মুনির আশ্রম ছিল। ভগীরথের তপস্যায় ভাগীরণী সন্তুষ্ট হইয়। যখন পৃথিবীতে আগমন করেন; এই স্থানে উপস্থিত হইলে তাহার জলস্রোতে মুনির কোশ। কুশি ভাসিয়া যায়। ইহাতে মুনি ক্রোধান্ধ হইয়া গঙুষে গঙ্গাকে পান করিয়াছিলেন। ভগীরথ অকস্মাং গঙ্গাকে অদৃশ্য হইতে দেখিয়া মুনির চরণ ধারণ করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। বালকের রোদনে মুনির মনে দয়ার সঞ্চার হওয়ায় গঙ্গাকে বমন করিয়া বাহির করিয়া দিলে পাছে তিনি অপবিত্র হন, এই আশঙ্কায় উকু চিরিয়া বাহির করিয়া ভগীরথকে প্রত্যপৰ করিয়াছিলেন। ঐ জয় মুনির নাম হইতে ভাগীরথীর অপর নাম জাতুৰী হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । এখানে আর কি আছে ? বরুণ। গঙ্গর মধ্যস্থলে চরের উপর একটী মন্দিরে গৈরিকনাথ নামক এক শিব আছেন। শিবরাত্রির সময় এবং মাঘী পূর্ণিমার সময় বিস্তর স্বাত্রী এই শিবের পূজা দিতে আসেন। কথিত আছে—কোন সময়ে এক জীর্ণ শীর্ণ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ বৈদ্যনাথের মস্তকে জল দিতে যাইতেছিলেন। তাং: শরীরে এমন বল ছিল না যে চলিতে পারে ; সুতরাং বসিয়া বসিয়া ষাইতে ' ছিলেন । ব্রাহ্মণের কষ্ট দেখিয়া বৈদ্যনাথ অপর এক ব্রাহ্মণ বেশে আসিয়া কছেন “পিপাসায় প্রাণ যায়, ঐ জল আমাকে দেও পান করি। “ বুদ্ধ তদুত্তরে কহেন “ এ জল আমি বাবা বৈদ্যনাথের নাম করিয়া লইয়৷ বাইতেছি, অতএব কি প্রকারে দিতে পারি ? ” বৈদ্যনাথ কছেন “ পিপা’ সায় জল না দেওয়া মহাপাপ তুমি বরং এ জল আমাকে পান করিতে