পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वांश्रिद्धांद्र क्षेीडिकांविड् tr এই প্ৰতিষ্ঠাত্রায় দিয়া নিজেকে ভাল করিয়া চিনিতে পারিলে, এই ষে আমার মৃন্ময় ভাণ্ডটি মুহুর্তেই চিন্ময় হইয়া উঠে। মানুষ আত্মস্থ হয়, এই আত্মস্থ অবস্থাই চণ্ডিদাস, রামপ্ৰসাদের হইয়াছিল। এই জাগ্ৰত জীবনের খেলাই তিনি কৃষ্ণলীলার ভিতর দিয়া নিজের প্রাণের মহামিলন-পরিচয়ের মুহূৰ্ত্তগুলি গানে সুরে সৃষ্টি করিয়া গেছেন। আধুনিক কবিদের মত নিজের প্রাণের সঙ্গে কোন পরিচয় না। রাখিয়া, শক্তিহীন সমালোচনার তরঙ্গ-ভঙ্গের ভাবুকতায় হাবুডুবু খাইয়া, শুধু কেবল বালুতটে ফেন ছড়াইয়া, কীৰ্ত্তির ফেনা রঙ্গিন করিয়া যান নাই। আধুনিক কবিরা আত্মাকে চোখের সম্মুখে রাখিয়া, প্রেমের মধুর প্রতিষ্ঠা করিতে পারেন। নাই । সকল রসের-সকল রূপের সঙ্গে প্ৰাণমনে সবিকল্প পরিচয় করিয়া আত্মায় আত্মায় রমণে যে আনন্দ তাহা অস্বাদ করিতে পারেন। নাই। কেবলমাত্ৰ সমুদ্রপারের তীর হইতে শুকুনা সমুদ্র-ফেনা কাপড়ের খুটে বাধিয়া বোঝা ভার করিয়াছেন। তাই আজি ডাক দিয়া বলিতেছি, হে আমার বাঙ্গল, আপনাকে চিনিবার সুযোগ আপনিইত হইয়াছে। আত্ম-অশ্বে বলগা দিয়া, এ জীবন-রথকে চালাও, জয় অবশ্যম্ভাবী। আজ তোমার ইহাই পথ, ইহা, छांफू अiब्र चिंडीघ्र १थ नाई!-नांश् । আজিকার এই সাহিত্যের দরবারে আমি পুরান কথাটিই আবার বলিতে আসিয়াছি। গীতি-কবিতা কি ? গীতি-কবিতার প্রাণই বা কি ? গানের প্রাণই বা কি ? কেননা বাঙ্গল দেশে যাহাকে পদাবলী-' সাহিত্য বলা হয় বা তাহার পরে যে গৌড়ীয় বৈষ্ণব-সাহিত্যের ধারায় যে সকল পদ পাওয়া যায়, তাহার প্রায় সকলগুলিই সুরে গান হয়। আমাদের গান ও বিলাতী গীতি-কবিতায় কিছু পার্থক্য আছে, সেই পার্থক্য না বুঝিলে দেশের প্রাণের সঙ্গে ঠিক পরিচয়লাভ হইবে না।