পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়স্থ-প্রসঙ্গ । তারপর দ্বিজ ঘটকচূড়ামণির ১ - ০৮ সনে বিরচিত দক্ষিণরাঢ়ীয় কায়স্থ কারিকাতে উক্ত আছে— পঞ্চ কায়স্থ আসে নৃপতি সদন । সসন্ত্রমে নরপতি দিলা আলিঙ্গন ॥ জিজ্ঞাসিলা নরপতি মুনিদের স্থানে । এত শুনি কহে তবে পঞ্চ তপোধনে ॥ এই পঞ্চজন হয় কায়স্থ কুমার । জিজ্ঞাসহ ইহাদিগে কি কহে উত্তর ॥ দশরথ মকরনদ কালিদাস কয় । শিষ্য অমুগত মোরা শুন মহাশয় ॥ দক্ষ দ্বিজ আদি করি মুনি পঞ্চজন । ইহাদের দাস হইতু শুন সৰ্ব্বজন ॥ দত্ত কহে ভূত্য নহি শুন মহীপাল । এক গ্রামে বসতি আছয়ে চিরকাল ॥ এই কারিকাকথিত পদ্যমালার ভিতরে দাস শব্দের উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু ইহা যে শূদ্রজাতির ভূত্যবোধক দাস শব্দ নয় তাহ সহজেই অনুমিত হয়। কারণ—(১) আদিশূরের ন্যায় একজন স্বাধীন ক্ষত্রিয় নরপতির পক্ষে ভৃত্যকে সসন্ত্রমে আলিঙ্গন যার পর নাই অদ্ভূত ব্যাপার। (২) যখন পঞ্চকারস্থের পরিচয় পাইবার পূর্বেই তিনি তাহাদিগকে সসন্ত্রমে আলিঙ্গন করিয়াছিলেন তখন নিশ্চয়ই সমাগত কায়স্থগণের আকৃতি, প্রকৃতি, বেশ ও ভূষা প্রভৃতি ভূত্যোচিত ছিল না । (৩) তারপর রাজা যখন भूनिগণকে পঞ্চ কায়স্থের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন তখন ভূত্য হইলে সোজ। কথায় তাহার বলিতে পারিতেন যে এই পাচজন আমাদের ভূত্য । কিন্তু উাহারা তাহ বলেন নাই। কারণ কায়স্থগণ তাহাদের ভৃত্য ছিলেন না, পরস্তু শিষ্য ছিলেন । তাই মুনিগণ নিজমুখে নিজেদের গুরুত্ব স্বীকার করেন