পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়স্থ-প্রসঙ্গ । নাই, শিন্যদের উপরই পরিচয়ের ভার দিয়াছিলেন । কারণ, সদগুরু গুরুত্বাভিমান থাকেনা । (৪) দশরথাদি ৪ জন কায়স্থ যখন আত্ম পরিচ দেন তখন “আমরা দক্ষ দ্বিজ আদি মুনিগণের অনুগত শিষ্য” এইবু পরিচয় দিয়া পশ্চাৎ দাস স্বীকার করিয়াছেন। স্বতরাং ইহা দাসত্ব উপজীবী বেতনভোগী শূত্রের দাসত্ব স্বীকার নয়, কিন্তু যোগ্যতম গুরু নিকট যোগ্যতর শিষ্যের বিনয়প্রকাশক দৈন্যোক্তি মাত্র । দত্ত মহাশয়েঃ সেরূপ বিনয়প্রকাশের প্রয়োজন হয় নাই, যে হেতু পঞ্চ মুনির সহিত তাহার গুরুশিষ্য সম্বন্ধ ছিল না। যদি মুনিদের সহিত পঞ্চ কায়স্থের দাস-প্রঃ সম্বন্ধ হইত, তাহা হইলে দত্ত মহাশয়ও তাহ হইতে নিষ্কৃতি পাইতেন না । বাধ্য হইয়া ‘দাস’ স্বীকার তাহার পক্ষে অপরিহার্ষ্য হইয়া পড়িত। কিন্তু আমরা দেখিতেছি স্বীকারতো দূরের কথা, বরঞ্চ অস্বীকারই করিয়াছিলেন । এজন্য তিনি মিথ্যাবাদী দাম্ভিক বলিয়া রাজসভায় বা মুনিদের নিকট স্বণিত হন নাই। তবে রাজা বা রাজসভাসদগণ মনে করিয়াছিলেন যে তপোবলসম্পন্ন ব্রাহ্মণগণের আনুগত্য স্বীকার করা ক্ষত্রিয় সস্তানের পক্ষে উচিত ছিল । বস্তুত: তপস্বী ব্রাহ্মণের দাসত্ব স্বীকার সাধারণ ব্রাহ্মণের পক্ষেও গৌরবজনক ছিল । কিন্তু দত্ত মহাশয় ক্ষত্রিয় হইয়াও তাহা স্বীকার করেন নাই। অতএব—চকার নৃপতি: স তং নিস্কুলং বিনয়াদ্বীনং, বিনয়ের অভাবেই দত্ত বংশ নিস্কুল হইয়াছিলেন, মিথ্যা কথা বলার জষ্ঠ্য নহে । তবে ইহাও নিতান্ত অসম্ভব নহে যে কায়স্থগণ পঞ্চইব্রাহ্মণের ক্ষত্রিয়োচিত পরিচর্ধ্যা করিতেন। যেহেতু সাগ্নিক ব্রাহ্মণগণের তাদৃশ পরিচর্য্যায় দ্বিজাতিরই অধিকার । শূত্র সেবকের দ্বারা অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণের কোন অন্তরঙ্গ সেবা হইতে পারেনা। নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের নিকট শূত্র তখন অম্প শু বলিয়াই বিবেচিত হইত ।