পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়স্থ-প্রসঙ্গ । పా তৃতীয় অধ্যায়। শিষ্য। প্রভো ! কায়স্থগণ রাজ সভায় কিরূপ ভাবে অভ্যর্থত হইয়াছিলেন তাহা শুনিয়াছি। এক্ষণে কিরূপ ভাবে তাহারা পরিচিত হইয়াছিলেন তাহাই শুনিতে ইচ্ছা করি । গুরু । বৎস! আদিশূরের সভায় শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণগণ পঞ্চ কায়স্থের যে পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহা সৰ্ব্বতোভাবে ক্ষত্রিয়োপযোগী। সংক্ষেপাতুরোধে এখানে আমরা কেবল মাত্র পুরুষোত্তম দত্তের পরিচয় লইয়াই আলোচনা করিব। বঙ্গজকায়স্থকারিকায় উক্ত আছে— অয়ঞ্চ পুরুষোত্তম অগ্নিদত্তকুলোম্ভব: । স্বদত্তবংশদীপক: সৰ্ব্ববিদ্যাবিশারদঃ ॥ মহাকৃতী মহামানী কুলভূদগ্রগণ্যক । স আগতো বঙ্গদেশে সৰ্ব্বেষাং রক্ষণায় চ ॥ স চ শৈকসেনাধর: শৈববরে রথিনাঞ্চ রথী মৌদগল্যগোত্র । শস্ত্রজ্ঞঃ শাস্ত্রজ্ঞো ভাস্করশ্চবলী পিনাকপাণিঃ কুলদেবতা চ | উপরোক্ত শ্লোকটর সমালোচনার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকট যুক্তির উপরে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিৎ— (১) ভৃত্যের পরিচয় এরূপ ভাবে কেহ কখনও জিজ্ঞাসা করেন । বিশেষতঃ রাজসভায় উহা একেবারেই অসম্ভব ছিল । (২) শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণগণ র্ত্যহাদের বংশ ও গুণাবলী কীৰ্ত্তন করিয়াছিলেন। পূদ্র বা ভূত্যের সম্বন্ধে ইহা নিতান্তই অসম্ভব। যেহেতু পুরাণাদিতে আমরা দেখিতে পাই ষে ব্রাহ্মণগণ কেবল ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়েরই বংশ ও গুণ কীৰ্ত্তন করিয়াছিলেন। পূত্রের বংশ বা গুণ কীৰ্ত্তন কখনও করেন নাই ।