পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়স্থ-প্রসঙ্গ । S X বৈশ্বের অধিকার থাকা সত্ত্বেও তাদৃশ অধ্যবসায়ের অভাব ছিল ; আর উহ! তো শূদ্রের অধিকারের বহিভূত । আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠ, আবৃত্তি, দান ও তপস্তা এই নবগুণ কৌলীন্যের ভিত্তি। এখন ইহার মধ্যে কয়েকটা গুণ লইয়া ংক্ষেপে বিচার করিলেই তুমি দেখিতে পাইবে যে উহ। তাৎকালিক শূদ্রে থাকা নিতান্ত অসম্ভব ছিল । বিদ্যা—তৎকালে এখনকার মত বি, এ, এম, এ ছিল না। সংস্কৃত শিক্ষা করিয়া বেদাদি শাস্ত্র অধ্যয়নই তখনকার বিদ্যা ছিল । শূদ্রের তাহাতে অধিকার ছিল না । আবৃত্তি—নিত্য বেদাধ্যয়নের নাম আবৃত্তি । ইহা দ্বিজাতির অবস্থা কৰ্ত্তব্য মধ্যে পরিগণিত ছিল । উহাও শূত্রের অধিকারের বাহিরে । তপস্তা-তপস্তাতেও দ্বিজাতির অধিকার । শূদ্রের তপস্যায় অধিকার ছিল না। রামায়ণোক্ত শূদ্র তপস্বী শম্বকের শোচনীয় মৃত্যুর কথা অবশ্যই তোমরা অবগত আছ । অতএব উপরি উক্ত গুণগুলিও নিঃসন্দেহে কায়স্থের ক্ষত্রিয়ত্বব্যঞ্জক । অবশিষ্ট ছয়ট গুণের বিচার করিলেও তুমি বুঝিতে পারিবে যে ঐ সমস্ত গুণও মুখ্যভাবে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়েরই উপযোগী। কিন্তু আমাদের সময়াভাব । যাহা বলিয়াছি, বিশ্বাসী ও বুদ্ধিমানের পক্ষে তাহাই যথেষ্ট । চতুর্থ অধ্যায়। শিশু। প্রভো ! কায়ুস্থের ক্ষত্ৰিয়ত্ব সম্বন্ধে আমি এখন নিঃসন্দেহ । কিন্তু আমি এখনও বুঝিতে পারি নাই যে কি জন্ত তাহার দ্বিজাতির প্রধান ংস্কার উপনয়ন পরিত্যাগ করিয়াছিলেন ।