পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

る8 কায়স্থ-প্রসঙ্গ । প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তাহারা উক্তধৰ্ম্মে দীক্ষিত ও তন্ত্রশাস্ত্রে পারগ এৰ তান্ত্ৰিক বলিয় বিখ্যাত হন । তথাপি বেদের অনুশাসনে উপনয়ন হীনতাহেতু তাহারা শূদ্রধৰ্ম্ম । এই প্রমাণে দেখা যায় যে বিভিন্ন স্থানে বাস করিয়া কায়স্থগণ হীনাচায় সম্পন্ন হন। এতদ্বারা প্রমাণিত হয় যে কায়স্থগণ পূৰ্ব্বে সদাচারী ছিলেন অতএব ইহা সহজেই অসুমিত হয় যে বৌদ্ধসংসর্গে ই কায়স্থগণ হীনাচং সম্পন্ন হইয়াছিলেন । তারপর বিপ্রমানদাতা কায়স্থগণ আধ্যাত্মিক জ্ঞা গ্রহণ করিয়া যজ্ঞস্থত্র পরিত্যাগ করেন । এস্থলে অধ্যাত্মিক জ্ঞানের অ নিশ্চয়ই বুদ্ধপ্রচারিত আধাত্মিক জ্ঞান। নচেৎ আর কোন আধ্যাত্মি জ্ঞান গ্রহণ করিয়া, গৃহস্থের যজ্ঞস্থত্র ত্যাগের প্রয়োজন হয় না। যাহা হউ। শ্লোকোক্ত আর একটী শব্দের উপর তোমায় মনোযোগ দিতে অনুরো করি। সে শব্দটা এই—“বিপ্রমানদণতা” কায়স্থগণ উপবীত পরিত্যা করিয়াছিলেন । এতদ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন হয় যে বিপ্রগণ অগ্ৰে উপবীত ও গায় স্ত্রী পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, পশ্চাং তাছাদের সম্মানরক্ষা জন্য কায়স্থগণও তাহদের পদাঙ্কামুসরণ করিয়াছিলেন । এরূপ অর্থ : করিলে "বিপ্রমানদ|” শব্দের কোন সার্থকতাই থাকে না । নচে শ্লোকটী একজন শব্দার্থপরিজ্ঞানশূন্ত, অনৰ্থকশব্দপ্রয়োগকারী ব্যক্তি কর্তৃক বিরচিত, এই কথাই বলিতে হয়। কিন্তু বাস্তবিক তাই নয় শ্লোকরচয়িত রাজসভার পণ্ডিত ছিলেন । শিষ্য । গুরুদেব ! মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত রঘুনন্দন কি এ সকল তত্ত্ব অবগং ছিলেন না । শুরু । বংস স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দনের বহুবৎসর পূৰ্ব্বেই কায়স্থগণ উপবীত পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । কয়েক শত বৎসরের গতানুগতিক প্রথা অমুসরণ করাতেই স্মাৰ্ত্তচূড়ামণি ভ্রান্তপথে পরিচালিত হইয়াছেন। তখন গবেষণার যুগ ছিল না। তথাপি রঘুনন্দন উদ্ধাহতত্ত্বে কায়স্থের নামাত্ত্বে