পরিশিষ্ট । । গুরুদেব, আপনার অনুগ্রহে আমি বুঝিতে পারিয়াছি.যে উপনয়ন ব্যাপার একটা তামসিক বা রাজসিক উৎসব নয়, নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাইবার জন্য উপবীত একটা রাজকীয় চিহ্নবিশেষের মত নয় ; অথবা গৰ্ব্বিতা রমণীর গৰ্ব্বস্বচক মণিমুক্তাহীরকাদিখচিত কণ্ঠভূষণসদৃশ নয়। উঠা প্রকৃতই ষজ্ঞসূত্র এবং পিতা পরমেশ্বরের সহিত মানবের যোগসূত্র। কিন্তু প্রভো, এমন অনেক কায়স্ত আছেন যাহারা আধ্যাত্মিকতার কোন সার্থকতাই স্বীকার করেন না। তাহদের মন নিতান্তই জাগতিক । র্তাহারা মুতু্য, পবকাল ও পরমেশ্বরের সম্বন্ধে কখনও চিন্ত করেন না। অর্থ ও সম্মান প্রভৃতি জাগতিক বিষয়কেই কায়মনোবাক্যে উপাসনা করেন । আপনার এ সকল যুক্তিত র্তাহীদের প্রবোধজনক হঠতে পারে না । বরঞ্চ তাহারা বলিবেন যে এই অল্পসমস্যার দিনে আর ব্রাহ্মণকে কতকগুলি টকা দিবার আবশ্যকতা কি ? গুরু । বৎস, কায়স্থের মধ্যে ৪ যে এরূপ আপত্তিকারীর সংখ্যা অল্প হইলে এ আছে, তা আমি জানি এবং ইহা ৪ জানি যে শিক্ষিত কায়স্থঞ্জাতি আত্মমর্য্যাদাজ্ঞানসম্পন্ন। বর্তমানে তাহাদের সামাজিক সম্মানরক্ষার জুলু ও উপনয়ন আবখ্যক হইয়া পড়িয়াছে । আমি তাহা ক্রমশ: তোমাকে বুঝাইতেছি । তাহার যে শুধু অর্থ নয়, সম্মানেরও উপাসনা করেন তাহাত তুমি নিজেই স্বীকার করিয়াছ । আচ্ছা, এখন দেখা যাক র্তাহাদের সামাজিক সম্মান কতটুকু আছে । তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে ও যে তাঙ্গর সমাজে ক্ষত্রিয়োচিত সম্মান পাইতেন তাই আমি পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি ; কিন্তু এখন আমরা দেখিতেছি যে ক্রমশ: চণ্ডাল পর্য্যন্ত কায়স্থের অন্ন পরিত্যাগ করিয়াছে । কৈবৰ্ত্ত আর কায়স্বজাতির তত্ত্ব বহন করে না। অনেক ব্রাহ্মণ কায়স্থবাটতে নিজে প্রস্তুত করিয়া ঘৃতপক জিনিষও থাইতে রাজী নন। আমি জানি, কলিকাতfপ্রবাসী কোন সম্রাস্ত ভদ্রলোক স্বগ্রামে সাধারণের জলপানের জন্য টিউবওয়েল দিয়াছিলেন, তন্ত্রত্য বুনিয়াদি ব্রাহ্মণগণ শূত্রের দান বলিয়া সে জল পান করিতে চাহেন নাই । বংস, এরূপ সামাজিক অপমানের বিষয় অনেক আছে। সংক্ষেপাতুরোধে আমি সামান্তই উল্লেখ করিলাম। তারপর, সমাজের বাহিবে কায়স্বজাতি কিরূপ লাঞ্ছিত হইতেছেন সংক্ষেপে তাছাই বলিব । লয়।
