পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R S SR 8 কালিদাস । যে অত্যুজ্জ্বল চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন, তাহার বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। অতিক্ষুদ্র পদার্থের—একটা সামান্য পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশেও যদি কোন সৌন্দৰ্য্য থাকে, তবে তাহা কালিদাসের তীক্ষু দৃষ্টিতে পড়িবেই পড়িবে। ময়ুরের শুভ্ৰ অপাঙ্গ-দেশে জলবিন্দুর উদ্ভব কেমন সুন্দর দেখায়, তাহা তিনি জানিতেন। রৌদ্র-শুস্ক কর্মিত ভূমিখণ্ডে অকস্মাৎ নবজল-পাতে কিরূপ সৌরভ উত্থিত হয়, তাহা তিনি বিদিত ছিলেন। (১) পূর্বমেঘে, তিনি, তঁহার প্রিয় উজ্জয়িনীর যে বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাব পাঠকালে মনে হয়, যেন সেই কালিদাসের সময়ের উজজয়িনীতে উপস্থিত হইয়াছি । তথাকার সব যেন দেখিতে পাইতেছি । শিপ্ৰানদীর স্নিগ্ধ সমীরণে দেহ মন জুড়াইয়া যাইতেছে । ভবভূতি ব্যতীত অন্য কোন কবির বর্ণনায় এ ভাব জন্মে না। অন্য কোন কবি, পাঠককে স্বীয় বর্ণিত সময়ে বা বর্ণিত দেশে ভুলাইয়া লইয়া যাইতে পারেন না। কালিদাসের বর্ণনায় এ শক্তি পরিদৃষ্ট হয়। তিনি তঁহার ইচ্ছামত, পাঠককে আকাশে, পৃথিবীতে, সমুদ্র-শয়ন-সুপ্ত বিষ্ণুর পাদ-প্রান্তে, আবার হিমালয়ের উত্তঙ্গ শিখরে, যখন যে স্থানে অভিলাষ, লইয়া যান। পাঠক মন্ত্ৰ-মুগ্ধের ন্যায় তাহার কল্পনাদেবীর অনুবৰ্ত্তন করেন। অন্যান্য কবিগণের বর্ণিত বিষয়, কোন না কোন নির্দিষ্ট সময়ের বা নির্দিষ্ট সমাজের উপযোগী, পর বৰ্ত্তী কালে, তাহার আর তেমন উপযোগিতা থাকে না। কিন্তু •-१९ cभ, २२, २३ ॥