পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে পত্নীর কথায় বাধা দিয়া দেবেনবাবু তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিলেন, “ন,—সে কথা আমি নরেনকে বলতে চাইনে । যাকে জীবনের সঙ্গিনী কৰ্ত্তে হবে,—যাকে সঙ্গে নিয়ে চিরদিন সংসার কৰ্ত্তে হবে,—যে জীবনের সুখ দুঃখের সমভাগিনী হবে তাকে যদি গোড়ায়ষ্ট অপছন্দ হয় তা হ’লে জীবনে কোনদিনই সুখ হতে পাবে না। আমি এ বিষয় কখন কারুকে জোব কৰ্ত্তে পারিনে। এতে আমার মতামত যেটুকু, কেবল সেইটুকুই আমি বলতে পারি।” নরেন্দ্রনাথ চুপ করিয়া রচিল,—উচিত অনুচিত বিবেচনা করিবার ক্ষমতা তাহার কোন দিনই ছিল না । তাছার বন্ধুবর্গের সকলেরই গৌরবর্ণ পত্নী হইয়াছে, তাহার কেন হইবে না ? পঙ্কজিনী যে তাহার কতখানি আপনার,- -সে যে তাহার গ্রাণের কতখানি স্থান জুড়িয়া রহিয়াছে তাহ ধাবণ করিবারও তাহার ক্ষমতা ছিল না। সে কালে মেয়ে বিবাহ করিতে চায় না, কিন্তু কেন যে চায় না, তাহাও সে বলিতে পারে না। পিতার কথায় তাহার প্রাণে যেন কেমন একটা নুতন তবঙ্গ জাগিয়া উঠিতেছিল,—সে তরঙ্গে তাহার সমস্ত প্রাণটা একেবারে ছালতে লাগিল। দেবেনবাবু কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া পুত্রের মুখের দিকে চাহিয়া আবার অতি শান্ত কোমল স্বরে বলিলেন, “নরেন, আমি তোমায় পঙ্ককে বিয়ে কর্তে অনুরোধ করছিনে, তবে আমার বিশ্বাস তুমি তাকে বিয়ে কল্পে ভাল কাজই কৰ্ত্তে—যাক আমি তোমাকে তিন দিন সময় দিলুম, বেশ ভালো করে একটু বিবেচনা করে দেখ। তারপর কি ঠিক কল্পে তোমার মাকে বলে ।” [* २२ ]