পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে সে ধীরে ধীরে আবার চক্ষু মুদ্রিত করিল। তাহার গাঢ় নিশ্বাস আরও যেন ঘনঘন পড়িতে লাগিল। কাত্যায়নী নিজেকে একটু সামলাইয়া লইয়া পঙ্কজিনীর দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “পত্নী মাঝে মাঝে নরুব মুখে একটু একটু বেদানার রস দিস,—আমি যাই ততক্ষণ কাপড়টা ছেড়ে আসিগে নেপালের মহারাজের প্রধান কবিরাজ মশায়ের আজ আবার নরুকে দেখতে আসবার কথা আছে। উনি তাই সকালে উঠেই সেখানে গেছেন। তারও আসবার সময় হ’লো।” পঙ্কজিনী কোন উত্তর দিল না,—কেবল একবার ঘাড় নাড়িল । কাত্যায়নী ধীরে ধীরে গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেলেন। নরেন্দ্রনাথ অনেকক্ষণ চোখ বুঙ্গিয়া চুপ করিয়া পড়িয়া ছিল, সহস চক্ষু মেলিয়া পঙ্কজিনার মুখের দিকে চাহিয়া ক্ষীণকণ্ঠে বলিল, “পঙ্ক, তোর এই বুদ্ধিহীন ভাইটির ওপর রাগ করিস্নি বোন,—অভিমান করিসনি। তুই তোর এই বুদ্ধিহীণ ভাইটিকে চালাক করবার অনেক চেষ্টা করিছিলি, কিন্তু তবুও তোর ভাই চালাক হতে পারেনি। এইটুকু শুধু মনে রাখিস বোন ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যেই করে থাকেন। আমার মনে হয় বোন আমি ভুল করিনি। তুই আমার চিরদিনের বোন,—জন্ম—জন্ম—আমার বোন হয়ে জন্মাস। এর বেশী আর আমার অন্ত কোন সাধ নেই। ভাই বোন এমন সম্বন্ধ পৃথিবীতে বুঝি আর কিছু হয় না।” পঙ্কজিনী নীরব,—তাহার সমস্ত দেহটা ধীরে ধীরে যেন পাষাণ হইয়া আসিতে ছিল। সে স্থির ধীর পলক শূন্ত দৃষ্টিতে I ab I