পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ পশ্চিমের বৈকালের চড়া রৌদ্র একেবারে স্নান না-হইলেও অনেকটা নরম হইয়া পড়িয়াছিল। স্থৰ্য্যদেব পশ্চিম কোণে দাড়াইয়া সমস্ত রশ্মিজাল নিজের ভিতর গুটাইয়া লইয়া ক্রমেই রক্তিম মূৰ্ত্তি ধারণ করিতেছিলেন। দক্ষিণে বাতাস চারিদিক হইতে এলোমেলে৷ ভাবে বহিয়া যাইতেছিল। গৃহের ভিতর পাচটি প্রাণী, কাহারও মুখে কথা নাই, সকলেই নীরব, সকলেরই মুখে একটা কালে ছায় বেশ একটু কালো হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। বহুদূর হইতে কেবল যমরাজের কালে মহিষটার বিকট গর্জন এলোমেলো বাতাসের ভিতর দিয়া ভাসিয়া আসিয়া আশঙ্কায় সমস্ত ঘরখানাকে যেন মাঝে মাঝে স্পন্দিত করিয়া তুলিতেছিল। নরেন্দ্রনাথের চক্ষু দুষ্টট মুদ্রিত,—তাহার দ্রুত নিশ্বাস প্রশ্বাস ঘনঘন পড়িতেছে। তাহার শিয়রে কাত্যায়নী,—অবগুণ্ঠনটা বেশ একটু টানিয়া দিয়া, পুত্রের স্নান মুখখানির দিকে আকুলভাবে চাহিয়া আছেন। নরেন্দ্রনাথের পায়ের নিকট পঙ্কজিনী, পালঙ্কের পাশ্বস্থিত একখানি টিপায়ে ঠেস দিয়া, ঈষৎ অবগুণ্ঠনে মুখখানি ঢাকিয়া স্থির হইয়া দাড়াইয়া আছে। দেবেনবাবু বিশুষ্ক মুখে পালঙ্কের ছত্রাঁট ধরিয়া বৃদ্ধ কবিরাজের গম্ভীর মুখখানার দিকে স্থির দৃষ্টে চাহিয়া আছেন। র্তাহারই সন্মুখে একখানা বেতের মোড়ার উপর কবিরাজ মহাশয় উপবিষ্ট, তাহারও চক্ষু দুইট মুদ্রিত। কি [ >०२ ]