পাঞ্চালদেশে উপনীত হইলেন। স্কন্ধাবার ও নগর সম্যক্রূপে পরিদর্শন করিয়া তাঁহারা ব্রাহ্মণবৃত্তি অবলম্বনপূর্বক এক কুম্ভকারের গৃহে বাস করিতে লাগিলেন।
দ্রুপদরাজ শ্রেষ্ঠ ধনুর্দ্ধরকে কন্যাসম্প্রদান করিবার মানসে এক সুদৃঢ় দুরাণম্য শরাসন এবং ঘূর্ণ্যমাণ আকাশযন্ত্র-রক্ষিত অত্যুচ্চ লক্ষ্য প্রস্তুত করাইলেন। এবং ঘােষণা করিলেন যে, যিনি এই ধনুতে জ্যা-রােপণপূর্বক পঞ্চশরের দ্বারা ঘূর্ণ্যমাণ মন্ত্রের ছিদ্র ভেদ করিয়া লক্ষ্যপাত করিতে পারিবেন, তাঁহাকেই তিনি কন্যাদান করিবেন।
এই উপলক্ষে নগরের প্রান্তবর্ত্তী এক পরিষ্কৃত সমতল ভূমিতে স্বয়ম্বর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হইল।
দ্রুপদরাজের ঘােষণা শ্রবণে চতুর্দ্দিক হইতে ভূপালগণ আগমন করিতে লাগিলেন। তন্মধ্যে কর্ণ-সমভিব্যাহারী দুর্য্যোধনপ্রমুখ কুরুবর্গ এবং বলদেব ও কৃষ্ণাদি যাদবগণ উপস্থিত হইলেন এবং নানাস্থানের ঋষি ও ব্রাহ্মণগণ উৎসবদর্শনার্থ সমাগত হইতে লাগিলেন। দ্রুপদরাজ সকলেরই উপযুক্ত সৎকার করিয়া স্বয়ম্বরের নির্দ্দিষ্ট দিন না আসা পর্যন্ত অভ্যাগতদের চিত্তরঞ্জনার্থ সভাস্থলে নৃত্যগীত বাদ্যোদ্যম ও জনগণের বিবিধ কলাকৌশল ও ব্যায়ামনৈপুণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করিলেন।
পঞ্চদশ দিবস এইরূপে অতিবাহিত হইলে, নির্দ্দিষ্ট শুভদিন উপস্থিত হইল।
শুভমুহূর্ত্ত উপস্থিত হইলে, ভ্রাতা ধৃষ্টদ্যুম্নের সহিত