পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু ha i VYF hul নিশ্চয়ই গৌরীশঙ্কর রায় তাহার অপমানের প্রতিশোধ লইবার জন্য পুষ্পকে ধরিয়া লইয়া গিয়াছে। গৌরীশঙ্কর রায়ের শক্তি ষে কত, তাহা তারিণীচরণের অবিদিত ছিল না। একই গ্রামে সেও জমিদার, গৌরীশঙ্কর রায়ও জমিদার, আয় ও সমান সমান না হইলেও কেবল উনিশ বিশ মাত্ৰ, অথচ গৌরীশঙ্কর রায়ের এত শক্তি, এত আধিপত্য কেন ! সে গৌরীশঙ্কর রায়কে আঁটিয়া উঠিতে পারিত না বলিয়াই তাহার উপর এত আক্ৰোশ। কিন্তু পরীক্ষণেই গৌরীশঙ্কর রায়ের ভিতরটা তাহার চক্ষের সম্মুখে পড়িবামাত্র আবার তাহার মনে হইল। --না তাহ। কখনই হইতে পারে না। গৌরীশঙ্কর রায় পরের কন্যা কখনই হরণ করিয়া লইয়া যাইবে না। গৌরীশঙ্কর রায়কে পত্ৰখানা লিখিয়া পর্যান্ত সে স্থির হইতে পারে নাই, উপরে যতই আস্ফালন করুক, ভিতরটা থাকিয়া থাকিয়া কঁপিয়া উঠিতেছিল। সে এবার মরিয়া, গৌরীশঙ্কর রায়কে অপদস্ত না করিয়া ছাড়িবে না। যে কথাটা তাহার প্রাণের ভিতর উকি দিল তাহ। সে আর ভগিনীর সম্মুখে প্রকাশ করিল না, বরং নিজেকে বেশ একটু চাঙ্গা করিয়া বলিল, “চিন্তার কোন কারণ নেই, এখানেই কোথায় গেছে—এলে বলে । ঝি সঙ্গে আছে-ভয় কি !! আর তাকে চেনে না, এ গায়ে এমন কে আছে ? কোন বিপদাপদ হ’লে কোন না কোন ক্রমে খবরটা নিশ্চয় এসে পৌছিত।’ কিন্তু মায়ের প্রাণ তাহ বোবে কই । কমলরাণী তাহাতে সুস্থির হইতে পারিলেন না, তিনি মৃদুস্বরে বলিলেন, “না দাদা, R