পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু MA' AW A F' YAFI’ r চক্ৰবৰ্ত্তীও অগ্রসর হইতেছিল, সে বলিল, “আজ্ঞে তাই হবে, আমি বাড়ী যাব। আর রওনা হ’বো।’ তাহারা সবে আসিয়া বৈটিকখানায় প্রবিষ্ট হইয়াছে সেই সময় রসিক মোহন আসিয়া সেই কক্ষের ভিতর প্রবেশ করিল। রসিক তাহদের অপরিচিত নহে। গ্রামের পাঁচ বৎসরের বালক হইতে অশীতি বৎসরের বৃদ্ধ সকলেই রসিকের পরিচিত। শ্মশানে যাইতে রসিক,-পরিবেশনে রসিক-সৰ্ব্ব ঘটেই রসিক আছে। এত প্ৰত্যুষে একেবারে বৈঠকখানার ভিতর রসিকের আবির্ভাব দেখিয়া তাহারা উভয়েই বিশেষ বিস্মিত হইয়া পরস্পর পরস্পরের মুখ চাওয়া চাহি করিতে লাগিল। তারিণীচরণের কুন্ত্রী মুখখানা একেবারে বিশ্ৰী হইয়া গেল। রসিক তাহার প্ৰিয় লাঠি গাছটি পাশে রাখিয়া গলার চাদরখানার দুইটা দিক দুই হাতে ধরিয়া তারিণীচরণের সম্মুখে আসিয়া বাগাইয়া বসিল। সে তাহার পাটভাঙ্গা সাদা ধপধাপে থানটার কেঁচোটা দুইবার বাড়িয়া গাওনা আরম্ভের পূৰ্ব্বে গাহকের ন্যায় একবার গলা থাকৃরি দিল। তারিণীচরণ রসিকের ভাবভঙ্গিতে বিশেষ বিচলিত হইয়াছিল । কিন্তু সে ভাবটা জোর করিয়া চাপিয়া রাখিয়া নিজেকে বেশ একটু গম্ভীর করিয়া যেন অবজ্ঞাভরে জিজ্ঞাসা করিল, “রসিক যে ! এত সকালে কি মতলবে ।’ রসিক একবার গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর দিকে বিকটভাবে চাহিয়া বলিল, “মতলব বড় জবর-ঘটকালি। একবার আপনার ভগিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎ কর্তে চাই ।”