বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাদে ভাকাত্তি وې\ জন্য চীৎকার সুরু করেছে। কাউণ্টারের ভেতর আমি যখের মত টাকাগুলি তাকড়ে ব’সে আছি । ভয়, বিস্ময় ও কাজের চাপে প্রাণ বেরুবার জোগাড়। একে একে মাইনে দিতে দিতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেল। খাদের সিটি বেজে উঠে ছুটির কথা প্রচার করল । যার মাইনে পেয়ে গিয়েছিল, তা’র ছুটল আপন আপন ঘরের দিকে | বাকী ক’জনের মাইনেও দিয়ে ফেললাম আাধ ঘণ্টার মধ্যে । এতক্ষণ ভাববার পর্য্যন্ত সময় পাইনি । কিন্তু এখন মনে হ’ল এতগুলি টাকা শুদ্ধ থলিটি নিয়ে এই রাত্রির অন্ধকারে কোয়ার্টারে ফিরবো কি করে ? কুলীর টাকা দেখে গেছে। তারাও অতর্কিতে রাস্তায় আমায় আক্রমণ করতে পারে । সাহেবের কাছে সোজা গিয়ে ব’ললাম—হুজুর, So many rupees, no safe to go home : *'Sir অদিমি সাথমে দিয়ে দিন । সাহেব আমার ভাষায় অসাধারণ পাণ্ডিত্য দেখেই হয়ত একটু করুণার হাসি হেসে ক’জন অফিসের প্রহরীকে আমার সঙ্গে দিলেন, আর একথাও বললেন—বাবু! তুমি ভুল করেছ। এতটাকা একসঙ্গে বাড়ী থেকে বের করে ন৷ এনে, সাতহাজার নিয়ে এলেই চ’লত। মনে মনে ব’ললাম –তোমার যখের ধন গচ্ছিত রাখতে, আমার যে কি অবস্থা হ’য়েছে, তা তুমি কি করে বুঝবে সাহেব !