খাদে ভাকাতি سيt?) সঙ্গীত। মহিমও তাই বাঙ্গলাতেই বললে, “মৌলভী সাহেব ! আমি একটা বড় সমস্যায় পড়ে আপনার কাছে এসেছি ; আপনি জ্ঞানীলোক, যুক্তি দিয়ে আমার প্রশ্নের মীমাংসা ক’রে দিবেন কি ?” সস্নেহ মধুরবচনে মৌলভী বললেন—‘কী তোমার প্রশ্ন বল ? “তবে শুনুন—এই যে দু’টি সহোদর ভাইয়ের মত ছ’টি গ্রাম আজ ছ’তিন পুরুষ ধ’রে ঝগড়াবিবাদ ক’রে আসছে তার কারণ কি, আর তার প্রতিকারই বা কি ? মৌলভী সাহেব কিছুক্ষণ র্তার বক্ষবিলম্বিত শ্মশ্রীর মধ্যে অঙ্গুলী সঞ্চালন করতে করতে কি যেন চিন্তা করলেন । তারপর বললেন, —“হিন্দু ও মুসলমান এই দুটি জাত নিজেদের এক ভাবতে পারছে না ; ধৰ্ম্মের গোড়ামিতে তারা অন্ধপ্রায়, তাই ধৰ্ম্মের দিক দিয়ে ফু’দলই নিজেদের প্রধান বলে ঘোষণা করতে চায় ; অপর দলের তা’তে আপত্তি। মুখের কথায় প্রাধান্য স্বীকৃত না হওয়ায় উভয় দল অস্ত্র ধ’রেছে ; সেইজন্যই এই লড়াই। প্রতিকারের কথা ব’লছ ? যদি কোনও স্বাৰ্থত্যাগী ব্যক্তি মধ্যস্থ হয়ে উভয় জাতিকে তা’দের নিজ নিজ ভুল এবং বিভিন্ন ধৰ্ম্ম যে ঈশ্বরের কাছে পৌছুবার ভিন্ন ভিন্ন পথ একথা বুঝিয়ে দিতে পারে, তবেই এ সমস্যার সমাধান হ’য়ে যাবে ; কিন্তু, দু’দলের মধ্যস্থত কে করতে যাবে ? মধ্যস্থতা করতে গি’য়ে সে ব্যক্তির প্রাণও বিপন্ন হতে পারে।”
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৬৬
অবয়ব