বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খুনী কে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
খুনী কে?
২৯

 আমি তাঁহাকে বাধা দিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি সেই দুর্দ্দান্ত লোকের বশীভূত হইলেন কিরূপে?”

 কে। শুনুন, আমি সমস্তই বলিতেছি। ডাক্তার বাবু আপনি লিখিয়া যান। আমার বয়স যখন ত্রিশ বৎসর, তখন আমার পিতার মৃত্যু হয়। পিতার মৃত্যুর পর আমি তাঁহার বিষয়ের উত্তরাধিকারী হইলাম। আমার আর কেহ ছিল না। মাথার উপর বাবা ছিলেন, তিনি মারা পড়িলেন। আমি সমস্ত বিষয় আশয় বিক্রয় করিয়া নগদ টাকা করিলাম। একে আমার যৌবনকাল, তাহার উপর হাতে বেশ টাকাও ছিল, এ অবস্থায় সচরাচর যাহা হয়, তাহাই ঘটিল। আমার অনেক সঙ্গী জুটিল। আমি মদ খাইতে শিখিলাম; এবং অতি অল্প দিনের মধ্যেই ঘোর বেশ্যাশক্ত হইয়া উঠিলাম। সর্ব্বশুদ্ধ আমার পাঁচ জন বন্ধু হইল। তাহারা আমার পয়সায় আমোদ-প্রমোদ করিতে লাগিল। দামোদর সেই পাঁচ জনের মধ্যে একজন। ক্রমে ক্রমে আমার সমস্ত অর্থ শেষ হইয়া গেল। আমার হাতে একটীও পয়সা রহিল না। তখন আমরা অর্থোপার্জ্জনের উপায় দেখিতে লাগিলাম।

 আমরা সন্ধ্যার পর খিদিরপুর অঞ্চলে কোন নির্জ্জন স্থানে দাঁড়াইয়া থাকিতাম এবং সুবিধা পাইলে লোকজনের নিকট হইতে টাকা-কড়ি কাড়িয়া লইতে লাগিলাম। সেই অবধি সঙ্গীরা আমার নাম রাম সর্দ্দার রাখিল। এইরূপে অর্থোপার্জ্জন করিয়া, আমরা আমোদ করিতে লাগিলাম। লোকে আমাদিগের উপর কোনরূপ সন্দেহ করিত না। একদিন শুনিলাম, কোন জমীদারের অনেক টাকা যাইবে। আমরা সেই টাকা লুঠ করিবার