শ্বশুরের কাছে যাচ্ছি, কাল অযোধ্যাপুরী রওনা হব, নবরাত্রি উৎসব দেখতে।
হরিহরবাবু বললেন, আপনি রেড্ডি? ক্ষত্রিয়?
— ব্রাহ্মণও বটি ক্ষত্রিয়ও বটি।
— ও, আপনি ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়, আমাদের এই তারক গুপ্তর সজাতি?
—তা বলতে পারি না।
হরিহরবাবু চিন্তিত হয়ে বললেন, তবেই তো সমস্যায় ফেললেন মশায়। আপনি শর্মা, না বর্মা, না দাশ তালব্য-শ, না দাস দন্ত্য-স?
— আমি শর্মা-বর্মা-দাষ, দ-এ আকার মূর্ধন্য ষ। আমি জাতিতে মূর্ধাভিষিক্ত। পিতা ব্রাহ্মণ, মাতা রক্ষঃক্ষত্রিয়া রাজকন্যা। রেড্ডি আমার আসল উপাধি নয়, শুনতে মিষ্ট ব’লে নামের শেষে যোগ করি।
হালদার মশায় বললেন, আহা, কেন ভদ্রলোককে জেরা ক’রে বিব্রত কর, দেখতেই তো পাচ্ছ ইনি মাদ্রাজী। আরও পরিচয়ের দরকার কি। আপনি তো খাসা বাংলা বলেন মশায়! শিখলেন কোথায়?
লংকুস্বামী হেসে বললেন, আমার বর্তমানা পত্নী আট বৎসর শান্তিনিকেতনে ছিলেন, তাঁর কাছেই বাংলা শিখেছি।
হরিহরবাবু বললেন, বর্তমানা পত্নী?
— আজ্ঞে হাঁ। পত্নীদেরও ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান আছে।
১৩৮