পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমফিল 6. එදා সতীশ। মিস্টার ভাদড়ি, আমি বিদায় নিতে এসেছি। \ ভাদুড়ি। আচ্ছা, তবে আজ— সতীশ । যাবার আগে একটা কথা আছে। ভাদুড়ি। কিন্তু সময় তো নেই, আমি এখন বেড়াতে বের হব। সতীশ । কিছুক্ষণের জন্য কি সঙ্গে যেতে পারি। ভাদুড়ি। তুমি যে পার তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু আমি পারব না। সম্প্রতি আমি সঙ্গীর অভাবে তত অধিক ব্যাকুল হয়ে পড়ি নি। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ শশধর। আঃ, কী বল। তুমি কি পাগল হয়েছ নাকি । সকুমারী। আমি পাগল না তুমি চোখে দেখতে পাও না! শশধর। কোনোটাই আশ্চৰ্য নয়, দুটোই সম্ভব। কিন্তু— সকুমারী। আমাদের হরেনের জন্ম হতেই দেখ নি ওদের মখে কেমন হয়ে গেছে ? সতীশের ভাবখানা দেখে বঝেতে পার না ? শশধর। আমার অত ভাব বুঝবার ক্ষমতা নেই, সে তো তুমি জানই । মন জিনিসটাকে আদশ্য পদার্থ বলেই শিশুকাল হতে আমার কেমন একটা সংস্কার বন্ধমতল হয়ে গেছে। ঘটনা দেখলে তব কতকটা বুঝতে পারি। সন্ধুমারী। সতীশ যখনই আড়ালে পায় তোমার ছেলেকে মারে, আবার বিধাও তার পিছনে পিছনে এসে খোকাকে জজের ভয় দেখায়। শশধর। ঐ দেখো, তোমরা ছোটো কথাকে বড়ো করে তোল। যদিই বা সতীশ ধোকাকে কখনো— সকুমারী। সে তুমি সহ্য করতে পার, আমি পারব না— ছেলেকে তো তোমার গভে ধরতে হয় নি। শশধর । সে কথা আমি অস্বীকার করতে পারব না। এখন তোমার অভিপ্রায় কী শুনি। সকুমারী। শিক্ষা সম্বন্ধে তুমি তো বড়ো বড়ো কথা বল, একবার তুমি ভেবে দেখো-না আমরা হরেনকে যে ভাবে শিক্ষা দিতে চাই তার মাসি তাকে অন্যরাপ শেখায়– সতীশের দন্টান্তটিই বা তার পক্ষে কিরুপ সেটাও তো ভেবে দেখতে হয়। শশধর। তুমি যখন অত বেশি করে ভাবছ তখন তার উপরে আমার আর ভাববার দরকার কী আছে। এখন কতব্য কণী বলো। সকুমারী। আমি বলি, সতীশকে তুমি বলো, তার মার কাছে থেকে সে এখন কাজকমের চেষ্টা দেখকে। প্রযেমানষে পরের পয়সায় বাবগিরি করে, সে কি ভালো দেখতে হয় । শশধর । ওর মা যে টাকা পায় তাতে সতীশের চলবে কী করে। সঙ্কুেমারী । কেন, ওদের বাড়িভাড়া লাগে না, মাসে প’চাত্তর টাকা কম কী। শশধর । সতীশের যেরপ চাল দাঁড়িয়েছে, প’চাত্তর টাকা তো সে চুরাটের ডগাতেই ফকে দেবে। মার গহনাগটি ছিল, সে তো অনেকদিন হল গেছে; এখন হবিষ্যম