পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6क्षाश्igलङ्ग 6झैंग्नालेि Yemr ዓ সখী সমিতি সন্ধ্যের পর রাত যখন আটটা বাজে, পণ্ডিতমশায় আমার বাসায় এসে উপস্থিত হলেন, সঙ্গে রায়মশায়ের প্রিয় খানসাম রাধানাথ শিকদার । রাধানাথ আমাদের ঠাকুরবাড়ীতে নিয়ে চলল। বার-বাড়ী এবং অন্দরমহলের মধ্যস্থ মহলটি হচ্ছে পূজার মহল। পশ্চিমে প্রকাণ্ড পূজার দালান, তার সুমুখে নাটমন্দির, আর তিন পাশে প্রশস্ত ভোগের দালান ; সব আগাগোড়া সাদা মার্বেলে মোড়া-পবিত্রতার নিদর্শন। আমাদের পথপ্রদর্শক আমাদের দুজনকে নিয়ে গিয়ে নাটমন্দিরে একখানি গালিচার উপর বসালে। তাকিয়ে দেখি, ঠাকুরদালান স্ত্রীজাতি নামক উপদেবতায়.গুলজার। শুনলুম এরা সবাই ব্ৰাহ্মণকন্যা-রায়মশায়ের কুটুম্বিনী। আর দাসী-চাকরাণীরা বসেছে সব নাটমন্দিরের ডাইনে বঁায়ে ভোগের দালানের বারান্দায়। প্ৰথমেই চোখে এ দুই দলের বর্ণের পার্থক্য। যাক, সে স্ত্রীরাজ্য। আর বর্ণনা করব না, তাহলে পুথি বেড়ে যাবে। ছায়া পিছনে ফেলে আলোর দিকে ফিরে দেখি যে, ঠাকুরদালানের সামনে প্রথমেই বসে আছেন রাণীমা, তার বাঁয়ে তাঁর তাম্বুলকরাঙ্কবাহিনী সখীরাণী। রাণীমাকে এই প্রথম দেখলুম। দিব্যি সুশ্ৰী, যেন একটি ননীর পুতুল ঢল ঢল। কঁচা অঙ্গের লাব্বণি ऊौ शिष्यः || ! মুর্তমতী আনন্দলহরী ! এর চেয়ে তার বিষয় বেশি কিছু বলবার নেই। তঁর ডাইনে বসে আছেন একটি বিধবা-the woman in white । ইনি হচ্ছেন এ পুরীর পুরদেবতা। তাঁর রূপ বাঙ্গালা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। কারণ এ তরল ভাষার কোন সংহত গাঢ়বন্ধ রূপ নেই। সংস্কৃত কবি হয়ত বলতেন:-- “তড়িল্লেখ্য তস্বী তপনশশিবৈশ্বানরাময়ী।”