পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৫৯ )

অঙ্গারজান, জলজান ও অম্লজান। সকল প্রকার চর্ব্বি ও তৈল এই জাতীয় পদার্থ।

 ৩। শ্বেতসার। ইহাতেও তিনটি মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। অঙ্গারজান, জলজান ও অম্লজান। তবে চর্ব্বিজাতীয় পদার্থে জলজানের ভাগ অধিক। আমাদিগের প্রায় সকল প্রকার খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে শ্বেতসার অত্যধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। গঁদ, শর্করা, আরারুট, তণ্ডুল ময়দা, আলু ইত্যাদিতে অত্যধিক পরিমাণে শ্বেতসার আছে।

 ৪। ধাতব পদার্থ ও জল। এই দুই পদার্থ সকল ভক্ষ্য দ্রব্যের মধ্যেই নানাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।

 উপরি উক্তচারি বিভাগের মধ্যে কোন একটি দ্রব্য অধিককাল পর্য্যন্ত আহার করিয়া প্রাণধারণ করিতে পারা যায় না। প্রকৃত জীবনধারণেপযােগী আহারে এই চারি জাতীয় পদার্থের উপযুক্ত পরিমাণে সংমিশ্রণ আবশ্যক। কিন্তু কোন সত্ত্বকারী পদার্থ যদি সহজে জীর্ণ হয় তাহা হইলে অন্য জাতীয় পদার্থের সাহায্য ব্যতীতও ইহা জীবন ধারণােপযােগী হইতে পারে। কারণ, সত্ত্বকারী পদার্থে যে চারিটি মৌলিক পদার্থ দেখা যায় ঐ চারিটি মৌলিক পদার্থে মনুষ্য দেহও গঠিত হইয়াছে, সুতরাং মনুষ্য দেহ ও সত্ত্বকারী পদার্থের রাসায়নিক সংঘটন একই। এতদ্ব্যতীত ধাতব পদার্থ ও জলও আমাদের দেহে পাওয়া যায়।

 প্রতি মুহুর্ত্তেই আমাদের শরীর হইতে ঘর্ম্ম প্রভৃতির নিঃসরণের সঙ্গে যে এক প্রকার ক্ষার জাতীয় পদার্থ নির্গত হইতেছে, আহার কর বা না কর ইহা নির্গমনের বিরাম নাই। এই নিঃস্রবণ শরীরাভ্যন্তরিক সত্ত্বকারী পদার্থের রূপান্তর মাত্র। এই কারণে