পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাদুলী vరి রাইচরণ তথাপি কিছু বলে না । ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন—“র্তাতি বউয়ের সঙ্গে পরামর্শটা না করে কিছু বলতে পারছিসনে বুঝি ? আচ্ছ। যা, পরামশ করে, ওৰেল এসে আমায় বলিস। নগদ দুশো আর নীলুবাগের বাড়ীখানা পাবি। তোর ভিটের সমস্ত জমিটুকু আমায় ছেড়ে দিতে হবে।” রাইচরণ প্রণাম করিয়া ৰিদায় লইল । অপরাহ্লে ভট্টাচাৰ্য্য সাগ্রহে তাহার পতীক্ষা করিলেন, কিন্তু সে আসিল না। স্বৰ্য্যাস্তের সময় তাই তিনি বেড়াইতে বেড়াইতে স্বয়ং রাইচরণের গৃহে পদধূলি দিলেন। “কিরে রাইচরণ ? কৰ্ত্তাগিন্নীতে পরামর্শ করে কি ঠিক করলি ?” রাইচরণ মুখখানি নীচু করিয়া বলিল—“আজ্ঞে, সাতপুরুষের ৰাস্তুভিটে কেমন করে ছাড়ি ?” “ঐ এক কথা শিখে রেখেছিস–সাতপুরুষের বাস্তুভিটে ।”—বলিয়া ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় উঠানের চতুর্দিকে পায়চারি করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। অবশেষে বলিলেন—“একটি শিব প্রতিষ্ঠে করব বলে নিভাস্ত ঝোঙ্কট দয়েছে আমার, তাই তোর অত খোসামোদ করছি। নইলে এ ভিটে নিয়ে আমি আর কি করব ? আচ্ছা যদি দুশো টাকায় তোর মন ন: উঠে—তা হলে না হয় আরও কিছু বেশী নে, পাচশো টাকা আর নীলুর সেই বাড়ী । রাইচরণ নিৰ্ব্বাক্। ভট্টাচাৰ্য্য তাহার মুখের পানে কিরৎক্ষণ চাহিদা রহিয়া বলিলেন— “কি বলিস ?” *আজ্ঞে—আমার কেমন মনটা সরছে না । আমার মনে হচ্ছে এ পৈতৃক ভিটে বেচে ফেল্পে আমার আর ভদ্রস্থত থাকৃৰে না ।” kro