পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छाञाज्रो दावाछी ՀԵՏ তিনিও এ প্রস্তাৰ অনুমােদন করলেন। - গোরর গাড়ী পাবেই বলা ছিল। নানাহার সারিয়া, দগো বলিয়া রাজসাহী যাত্রা डिन যে দিনের কথা বলিতেছি, তখন ঈশ্বরদি হইতে রাজসাহী যাইবার রেল খালে নাই। নাটোরে নামিয়া অশবষানে বরিশ মাইল অতিবাহন করিয়া রাজসাহী যাইতে হইত। রাজসাহীর উকিলবাবরা একটা কোম্পানী গঠন করিয়া, যাতায়াতের জন্য কতকগুলি অশববানের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। পাঁচ মাইল অন্তর ঘোড়া বদলের আভা ছিল। নাটোরে নামিয়া, অশবযানে আরোহণ করিয়া যখন রাজসাহী গিয়া পৌছিলাম, বেলা তখন চারিটা, বৈবাহিক-মহাশয় তখনও কাছারী হইতে ফিরেন নাই। তাঁহার পত্রেরা অতি সমাদরে আমার অভ্যর্থনা করিল। হাত-মুখ ধুইয়া, ডাব ও সরবৎ পান করিয়া, বৈঠকখানা-ঘরে আরাম-কেদারায় পড়িয়া আমি বিশ্রাম করিতে লাগিলাম। সাড়ে পাঁচটায় বৈবাহিক-মহাশয় বাড়ী ফিরিলেন। আমি আসিয়াছি শনিয়া কাছারীর বেশেই আমার নিকট আসিয়া বসিলেন। অদ্য প্রভাতে প্রাপ্ত পত্রখানি তাঁহাকে দেখাইলাম। পড়িয়া বলিলেন, তিনিও গতকল্য পত্রের নিকট হইতে ঐ ধরণের একখানি চিঠি পাইয়াছেন। বলিলেন, “আচ্ছা ভাই, বোসো তুমি, আমি বাড়ীর ভিতর গিয়ে এই ধড়াচড়াগুলো ছেড়ে মুখে হাতে একটা জল দিয়ে আসি। অনেক কথা আছে।”—বলিয়া তিনি চলিয়া গেলেন। অন্ধ ঘণ্টা পরে তিনি আমায় অন্তঃপুরে ডাকিয়া পাঠাইলেন। তেতলার একটি নিজজন কক্ষে বসিয়া তিনি ধুমপান করিতেছিলেন আমি সেইখানে গিয়া বসিলাম। তিনি আমার হাতে গড়গড়ির নলটি দিয়া বলিলেন, “আমার কি হয়েছে ভাই জানো ? চোরের মা যেন পোয়ের লাগিয়া ফকার কাঁদিতে নারে। বন্ধবোন্ধব, আত্মীয়স্বজন কাউকে আমার বলবারও উপায় নেই যে, ছেলে আমার সন্তান হয়েছে—গ্রামে গ্রামে সবদেশী মন্ত্র প্রচার করতে বেরিয়েছে। কথাটা প্রকাশ হলেই ক্ৰমে সাহেবদের কাণে গিয়ে উঠবে, তখন আমার চাকরী বজায় রাখাই হবে দায়।” 娜 বলিলাম, “এখন কি উপায় হবে বেয়াই-মশাই ? কোথায় সে আছে, জানতে পারলে না হয় সেখানে গিয়ে কে’দে কেটে পড়া যায়, তাকে ফিরিয়ে আনবার চেষ্টা করা যায় ।" । বেয়াই বললেন, “চিঠিখানা ত লিখেছে পাবনা জেলার চন্দ্রপরে পোট অপিস থেকে । অন্ততঃ ছাপ থেকে যা বোঝা গেল।” “ছাপ ত আমিও পরীক্ষা করেছিলাম, কালীর ধ্যাবড়া, কিছুই বুঝতে পারিনি।” “আমার চিঠিতে ছাপটা অত অপলট নয।—দাঁড়াও, চিঠিখানা বের করি।”—বলিয়া বেয়াই লোহার সিন্দকে খালিয়া তাহার মধ্য হইতে চিঠি বাহির করিয়া আমার হাতে দিলেন। পত্র পড়িয়া দেখিলাম, আমার কন্যার পত্রে ষে সব কথা ছিল, সেই সব কথাই আছে, কেবল ভাষার একটা এদিক ওদিক। ছাপ দেখিলাম, কয়েকটা মাত্র অক্ষর পড়া গেল—চন্দ্রপরে হইতে পারে। এই সময় ভূত্য দই পেয়ালা চা আনিল। বেয়াই এক পেয়ালা আমার হাতে দিয়া বলিলেন, “এখন কিছল খাবে, ভাই ? দই এক টুকরো ফল-টল, দই একটা মিল্টি • फैंधि ?” - আমি বলিলাম, “না বাই-নশাই—এই 'ত ঘণ্টাখানেক আগে জল খেয়েছি। এখন আর কিছ নয়। ছেলের সম্বন্ধে কি উপায় ঠাওরালেন ?” বলিলেন, “মাথা-মণ্ড কি আর ঠাওরাব বল ? চন্দ্রপরে কোথা, তাও ত জানিনে।