পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Óና 8 গল্প-গ্রন্থাবলী এ দিকে বাদশাজাদা হরিণত্ব প্রাপ্ত হইলেও তাঁহার বাথিসদ্ধি পাব মতই রহিল, কেবল বাকশক্তি তিরোহিত হইয়া গেল। তিনি কুমাগত আশ্র বিসজন করিতে লাগিলেন এবং ঈশ্ববরকে ডাকিতে লাগিলেন। তিনি বাগানের চতুদিকে ছাটাছুটি করিয়া কেবলই পলাইবার পথ অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। ভাবিলেন, “আমি এখানে নিরাপদে আছি বটে, কিন্তু আমার জীবন বিফল হইল। তাহার অপেক্ষা যদি আমি পলাইতে পারি, যদি ব্যাঘ্র ভল্পকেও আমাকে খাইয়া ফেলে, এ বিফল জীবন অপেক্ষা তাহাও ভাল।” এইবাপ ভাবিতে ভাবিতে তিনি ক্ৰমাগত পলাইবার চেষ্টা করিতে লাগিলেম, কিন্তু নিগমনের কোনও পথ খুজিয়া পাইলেন না। अश्वत्र अब्रिटझ्न হরিণবেশী বাদশাজাদা এই প্রকার মনোদঃখে সেই বাগানে দশ বারো দিন যাপন করিলেন। একদিন বাগানের এক কোণে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, সেখানকার প্রাচীরের উপরাংশ বর্ষণ-জলে ভাঙ্গিয়া গিযাছে। যাহ অবশিষ্ট আছে তাহা তাদশ উচ্চ নহে। দেখিয়া বাদশাজাদার মনে অত্যন্ত আনন্দ হইল। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিযা, বিপলে বলের সহিত এক লক্ষ প্রদান করিয়া প্রাচীরের বাহির হইয়া গেলেন। প্রাচীর লঙ্ঘন করিয়া, প্রাণপণে ছয়টিতে আরম্ভ করিলেন—আশঙ্কা পাছে আবার লতিফাবানর মায়াজালে বন্ধ হইয়া পড়েন। সারাদিন ছটিয়া ছটিয়া, সেই বাগান হইতে বহন ক্লোশ দবে গিয়া পাঁডলেন । সেখানে একটি জলাশয় ছিল। কিgৎ জলপান করিয়া এবং তৃণাদি ভক্ষণ করিয়া বারের মত সেই পথানেই বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। পরদিন প্রাতঃকালে উঠিয়া, পুনরায় চলিতে আরম্ভ করিলেন। কিছু দরে যাইয়া দেখেন, একটি বিপলে অট্টালিকা শোভা পাইতেছে। সেই আটালিকার চতুদিকে এক সহস্র বাতায়ন সন্নিবিষ্ট ছিল। গহের নিকট গিয। ভ্রমণ করিতেছেন, এমন সময় একটি বাতায়ন পথে এক পরমা সন্দবী রমণীমত্তি দেখা গেল। সেই রমণীকে দেখিয়াই বাদশাজাদার বিশ্বাস হইল, ইনি স্নেহশীলা করুণাময়ী রমণী—লতিফাবানর মত কাম-কী ও পাষাণ-হৃদয়া নহেন। মনে হইল, এই রমণী হয়ত বা আমাকে এই ইন্দ্রজাল হইতে মুক্ত করিয়া প্রাণদান দিতে পারেন। এদিকে সেই রমণী হরিণকে দেখিযা অত্যন্ত মগধ হইলেন। স্বীয় পরিচারিকাকে ডাকিয়া কহিলেন—“দেখ দেখ, কি সদব হরিণ । উহার শঙ্গে কেমন বর্ণজড়িত । অঙ্গে কেমন সন্দের জরিদার মখমলের আঙ্গরাখা। গলায় কেমন রেশমী রমোল বাঁধা রহিয়াছে। বোধ হয কোনও বড়লোকেব পালিত হরিণ হইবে—কি করিয়া পলাইমা আসিয়াছে। তুমি যাও উহাকে ধত কবিষা আন । আমি পুষিব৷” আজ্ঞা পাইয়া পরিচারিকা নীচে নামিয়া আসিল। এক মাটি সবজি নবীন ঘাস লইয়া, হরিণের নিকট যাইয়া, “আষ আয়” বলিফা প্রলোভিত করিতে লাগিল। বাদশাজাদারও মন সেই রমণীর'সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য ছটফট করিতেছিল, তিনি সহজেই ধরা দিলেন। দাসী তাঁহার গলার রমাল ধরিয়া ভিতরে লইয়া গেল। ভিতরে গিয়া বাদশাজাদা দেখিলেন, সেই সন্দেরী নবীনা যাবতী একটি রত্ন সিংহাসনে উপবিষ্ট আছেন। তাঁহার রাপের জ্যোতিতে কক্ষখানি ঝলমল করিতেছে, যাবতীর নাম জমিলাবান। হরিণকে দেখিবামাত্র তিনি তাতাকে কাছে আনিতে বলিলেন। হরিণের গায়ে আদর করিষা হাত বলাইতে লাগিলেন। হরিণও নিজ মস্তকাঁট তাঁহার কোলে বাখিয়া চপ করিয়া দাঁড়াইযা রহিল। মাঝে মাঝে মন্তক তুলিযা জমিলাবানর প্রতি সকাতর ভাবে দটি করিতে লাগিল। জমিলাবান উত্তম মেওয়া ফল আনিয়া হরিণকে