পাতা:গীতগোবিন্দ - বিজয়চন্দ্র মজুমদার.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচ্যুতচরণ চৌধুরী মহাশয় আমার অনুবাদের প্রতি কৃপাকটাক্ষ করিয়া উমাপতি এবং শরণ সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন (“মৃন্ময়ী”, শ্রাবণ, ১৩১৭ ) । ঐ প্রবন্ধে অবগত হইলাম যে, “শ্ৰীমদ্ভাগবত”-এর “বৈষ্ণবতোষিণী” টীকায় উমাপতি সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে, যথা—“শ্ৰীজয়দেবসহচরেণ মহারাজ-লক্ষ্মণ-সেন-মন্ত্রিবরেণ উমাপতিধরেণ" ইত্যাদি। এই টীকার কথা যখন প্রাচীন খোদিত লিপি এবং “গীতগোবিন্দ”-এর মুখবন্ধের চতুর্থ শ্লোকের সহিত মিলিতেছে, তখন উমাপতি ধরকে কবি জয়দেবের সহচর এবং মহারাজ লক্ষ্মণ সেনের একজন মন্ত্রী বলিয়া স্বীকার করিতে পারা যায় । কবি জয়দেব উমাপতি ধরের রচনার প্রশংসা করেন নাই ; বরং তাহার রচনা পদপল্লবে ভূষিত বা শব্দের আড়ম্বরে পরিপূর্ণ বলিয়াছেন। প্রহ্লামেশ্বরের মন্দিরের প্রশস্তিতে এবং ক্রযুক্ত অচ্যুতচরণ চৌধুরী মহাশয়ের প্রবন্ধে উমাপতি ধরের যে রচনার পরিচয় পাওয়া যায়, তাহাতে জয়দেবের কথাই সমর্থিত হয়। চৌধুরী মহাশয়ের প্রবন্ধে ইহাও অবগত হইলাম যে, শ্ৰীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী নামক একজন পণ্ডিত একখানি প্রাচীন পদ্যংগ্রহ প্রকাশ করিয়াছেন ; এবং উহাতে উমাপতি ধর, শরণ ভট্ট এবং গোবৰ্দ্ধন আচার্য্যের অনেক কবিতা যোজিত আছে। গোবৰ্দ্ধন আচার্য্যের "আর্য্যা-সপ্তশতী”র ৩৮ শ্লোক হইতে জানিতে পারা যায় যে, কবির পিতার নাম নীলাম্বর আচাৰ্য্য ছিল , এবং ৩৯ শ্লোক পড়িলে বুঝিতে পারা যায় যে, কবি “সেনকুলতিলকভূপতি"র সভাসদ ছিলেন । * এ সকল মিল দেখিয়া কবি জয়দেবকে লক্ষ্মণ সেনের সময়ে প্রাজুভূত বলিয়া স্বীকার করিতেই হইবে । க παμπα παπάκμα"

  • উৎকীর্ণ লিপিতে সেনরাজাদিগের আদি পুরুষ যে “চন্দ্র”-এর নাম পাওয়া বায়, এখানে উ{ংার নামও উপন্তস্ত হইয়াছে।