পাতা:গীতগোবিন্দ - বিজয়চন্দ্র মজুমদার.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/ك বিশেষত্বই লক্ষিত হয়। র্তাহার জন্মস্থান কেন্দুবিল্ব (৭ম গীত, ৮ম পাদ ), বীরভূম জেলার অজয় নদীর তীরের ‘কেঁজুলি’ গ্রাম বলিয়া বঙ্গদেশে স্বীকৃত হইয়া আসিয়াছে। বিরোধী মতের প্রবর্তক গ্রিয়ার্সন, নিজের মতের পোষকতার কোন প্রমাণ দেন নাই। এরূপ স্থলে বঙ্গদেশের ঐতিহ্যটি অস্বীকার করা চলে না । এখনও কেঁজুলিতে জয়দেবের নামে বার্ষিক উৎসব হইয়া থাকে। গ্রন্থ-শেষের পরিচয় শ্লোকটি, এবং তৎপূর্ববর্তী আত্মগৌরবের শ্লোকটি (“সাধবী মাধবীক” প্রভৃতি এবং “শ্ৰীভোজদেব” প্রভৃতি) স্বরচিত নহে । শেষটিতে উল্লিখিত হইয়াছে, যে কবির পিতার নাম ভোজদেব এবং মাতার নাম বামা দেবী । কবির পত্নীর হয়-ত দুইটি নাম ছিল,—এক পদ্মাবতী, যাহা মুখবন্ধের ২য় শ্লোকে এবং অন্তান্ত গীতে পাই ; এবং অপর নাম রোহিণী, যাহা কেবল ৭ম গীতে পাই। কেহ কেহ বলেন, যে কবির দুইটি পত্নী ছিল । সে কথার বিচারে কোন লাভ নাই । কবির নিজের সমকালীন অন্ত কবিদের কথার যে শ্লোকটি পাই, তাহ কুরচিত এবং কর্কশ হইলেও, উহার ঐতিহাসিক মূল্য আছে। শ্লোকটিতে চারিজন কবির নাম পাওয়া যায়, যথা –উমাপতি ধর, শরণ ভট্ট, গোবৰ্দ্ধন আচাৰ্য্য এবং ধোয়ী কবিরাজ। উহার রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাসদ ছিলেন বলিয়া প্রবাদ আছে। এই প্রবাদটি ঐতিহাসিক ভিত্তিতে স্থাপিত বলিয়াই বিশ্বাস হয়। কারণ লক্ষ্মণ সেনের সময়ের উৎকীর্ণ লিপিতে কবি উমাপতিধর-রচিত শ্লোক দেখিতে পাওয়া যায়। কবি উমাপতি ধর যে রাজা লক্ষ্মণ সেনের মন্ত্রিবর্গের মধ্যে একজন ছিলেন, ইহারও কিঞ্চিৎ প্রমাণ আছে । উৎকীর্ণ লিপিতে যেমন উমাপতি “সন্ধিবিগ্রহিক” বলিয়া উল্লিখিত, অন্ত সাহিত্যেও তাহার সম্বন্ধে সেইরূপ উল্লেখ আছে। ‘মৃথায়ী” পত্রিকায় যখন “গীতগোবিন্দ”-এর অনুবাদ প্রকাশ করিতেছিলাম, তখন ভক্ত বৈষ্ণব