পাতা:গীতগোবিন্দ - বিজয়চন্দ্র মজুমদার.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l/o শ্রীতিধর ধোয়ী কবিরাজ হয়ত রাজসভায় প্রধান ব্যক্তি ছিলেন । কিন্তু তাহার রচনার যে পরিচয় প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে তাহাকে বড় কবি বলিয়া মনে হয় না। র্তাহার “পবনদূত” কাব্য একবার পড়িয়াছিলাম বলিয়া মনে হইতেছে ; কিন্তু সন্ধান করিয়া আর পাইলাম না । হয়ত বা “সাহিত্যপরিষৎ পত্রিকায়” মুদ্রিত দেখিয়াছিলাম । যে লক্ষ্মণ সেন উল্লিখিত কবিগণ এবং স্মাৰ্ত্ত পণ্ডিত প্রসিদ্ধ হলায়ুধের প্রতিপালক ছিলেন, তিনি লক্ষ্মণ-সংবৎসরের প্রবর্তক। এই অব্দটি ১১১৯ খৃষ্টাব্দে প্রবর্তিত বলিয়া অনুমিত হয় ( বেঙ্গল এসিয়াটিক সোসাইটির পত্র, ১৮৭৭ সাল, বুলার-সম্পাদিত অতিরিক্ত সংখ্যা ) । তাহা হইলে দেখিতে পাইতেছি যে, বঙ্গদেশে বক্তিয়ার খিলিজির প্রভাব বিস্তৃত হইবার প্রায় ১• • বৎসর পূৰ্ব্বে কবি জয়দেব প্রাচুভূত হইয়াছিলেন । অনুবাদকের মন্তব্য । সমস্ত “গীতগোবিন্দ”-খানিতে যত শ্লোক আছে, আমি তাহার সকল গুলিরই অনুবাদ করিয়াছি ; যদিও আমার বিশ্বাস যে, কেবল গীত কয়েকটিই জয়দেবের রচনা। “গীতগোবিন্দ”-এর সুমধুর গানগুলি ষে অনায়াসে মুলের অনুরূপ ছন্দে ও মুরে অনুবাদ করা চলে, তাহ পাঠকের আমার অনুবাদে দেখিতে পাইবেন । যে কোমল-কান্ত পদযোজনায় গীতগুলির অপূৰ্ব্ব মাধুরী, সে পদযোজনাও যথাসাধ্য রক্ষা করিতে চেষ্টা করিয়াছি। সংস্কৃতের ছন্দ ও সুর বজায় রাখিয়াছি বলিয়া হ্রস্ব-দীর্ঘভেদে পড়িবার প্রয়োজন হইবে না। যুক্তাক্ষরে দীর্ঘ উচ্চারণ রাখিয়া সাধারণ বাঙ্গলা ছন্দপাঠের নিয়মে পড়িলেই মূলের ছন্দ ধ্বনিত হইবে। মূল “গীতগোবিন্দ”-এর মুমধুর গীতিগুলিই মূলের মাত্র-ছন্দে অনুবাদ