পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yoro উত্তর গীতা। জাকাশং মানসংকৃত্বা মন: কৃত্বা নিরাপদ । নিশ্চলং তং বিজানীয়াৎ সমাধিস্থস্ত লক্ষণম্।। ৩১ ॥ যোগাস্বতরসং পীত্ব বায়ুভক্ষ্যঃ সদা মুখী। যং স লভ্যস্ততে নিত্যং সমাধিমৃত্যুনাশকং ॥ ৩২ ॥ উৰ্দ্ধশূন্তমধঃপূন্তং মধ্যশৃঙ্কং যদাত্মকম্। সৰ্ব্বশূন্তং স আত্মেতি সমাধিস্থস্ত লক্ষণম্ ॥৩৩ ৷ শূন্যভাবিতভাবাত্মা পুণ্যপাপৈ: প্রমুচ্যতে ॥৩৪ ৷ অৰ্জুন উবাচ । অদৃষ্ঠে ভাবনা নাস্তি দৃশ্বমেতদ্বনগুতি। অবর্ণমীশ্বরং ব্ৰহ্ম কথং ধ্যায়ন্তি যোগিন: ॥ ৩৫ ॥ বে ব্যক্তি মনকে আকাশের স্বায় নিৰ্ম্মল ও বিষয়-বাসনা-পরিশূন্ত করিয়৷ নিশ্চল সচ্চিদানন্দ পরমাত্মাকে অবগত হইতে পারেন, তিনিই সমাধিমান্‌ সন্দেহ নাই অর্থাৎ মনকে সংকরাদিরহিত ও আকাশবং সৰ্ব্বব্যাপী এবং নিলিপু করিতে পারিলেই পরমাত্মাকে অবগত হওয়া যায় ॥ ৩১ ॥ হে পার্থ। যিনি যোগমুক্ত পান ও অনিলমাত্র ভক্ষণ পূর্বক নিরস্তর আনন্দ ভোগ করিবার বাসনায় সমাধি অভ্যাস করেন, তাহাকে জন্মমরণাদিমান সংসারে পতিত চাইতে হয় না , তিনি নিৰ্ব্বাণপদ প্রাপ হইয়া থাকেন श्रट्न्नश् नiश् ॥ ७२ ॥ যাহার উদ্ধ শূন্ত, মধ্য শূন্ত ও অধঃ শস্য অর্থাৎ বাহার উৰ্দ্ধভাগ শূন্তমাত্র, চন্দ্রাদি কিছুই নাই, মধ্যভাগ শৃঙ্গ অর্থাৎ শরীরাদি নষ্ট এবং নিম্ন শূন্ত অর্থাৎ পৃগিব্যাদি কোন বস্থই নাই, তিনিই পরমাত্ম। এইরূপে পরমাত্মার স্বরূপ পরিজ্ঞাত হইয়া যিনি তাহাকে ধ্যান করেন, তাহাকেই যথার্থ সমাধিমান বলা যায় এবং ঐরুপ আত্মভাবনাই যথার্থ সমাধির লক্ষণু। ইহাকেই নিরালম্ব সমাধি কহে । এই সমাধি দ্বারাই নিৰ্ব্বাণপদ লাভ করা যায় ॥১৬৩ ৷ এই প্রকারে সর্বশৃঙ্গ পরমাত্মার বঞ্চ তত্ত্ব জানিতে পারিলেই পুণ্যপাপ হইতে মুক্ত হওয়া যায় অর্থাৎ তাহা হইলে বিধিনিষিদ্ধ করণীকরণজনি इंटेनिरहेब ठे९शडि श्द्र ना ॥७8 ॥ - দেৰদেৰ নারায়ণ এই প্রকারে সমাধিলক্ষণ কীৰ্ত্তন করিলে জ্ঞানিপ্রবর ধনঞ্জয় তাহার প্রকৃত তাৎপৰ্য্য বিদিত হইয়া মানবগণের হিতসাধনার্থ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, হে কৃষ্ণ ! যে পদার্থ দৃষ্টিগোচর হয় না, তাছাকে