পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণা না, সে মানুষ হ’লে তোমায় ব্যাধ ব’লে আর চিনতেও পারবে মনে | মনে থাকে যেন, এমনি হয় | বসন্ত—তা না পারুক । আমি ত’ তাকে চিনতে পারবো মানুষ ব’লে, এই আমার সান্তন । কিষণ—ঐ আমোদেই থাক । বসন্ত—না হ’লে আর কি নিয়ে থাকি ! যা, আজ তোরাই বনে যা । আমি ফিরি—কি জানি, বন্ধুর ভাগ্যে কি আছে— কত লাঞ্ছনা ! [ প্রস্থান বিষণ—কি, তোমরা যাবে, না, ফিরবে ? সকলে—যাবে—যাবে।-— [ সকলের প্রস্থান তৃতীয় দৃষ্ঠ স্থান—অস্ত্র-শিক্ষালয় । সময়—দুপুর । [ দুর্য্যোধন, অৰ্জ্জুন, নকুল, সহদেবাদি সকলে আপন-আপন অস্ত্রশিক্ষা অভ্যাস করিতেছে—গুরু দ্ৰোণাচার্য্য প্রবেশ করিলেন ] দ্রোণ—তোমাদের শিক্ষার উৎসাহ দেখে আমি সত্যই প্রীত হয়েছি । আমাকে যেদিন তোমরা গুরুত্বে বরণ করেছ, সেইদিন হ’তে আমি মনে-মনে সঙ্কল্প করেছি যে, তোমাদের যথার্থ ক্ষত্রিয় ক’রে তুলবো । অস্ত্রে-শস্ত্রে আমার যত জ্ঞান আছে, তা আমি নিঃশেষ ক’রে দেবার চেষ্টা করবো । তোমরাও তা হৃষ্টচিত্তে নিতে—ভক্তিভরে নিতে কুষ্ঠিত হয়ে না। > 8