পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণা তুৰ্য্যোধন—কখনই না, আমি শপথ করচি গুরুদেব, আমি ক্ষত্ৰিয়-ধৰ্ম্ম পালন করতে কখনও কুষ্ঠিত হবে না । দ্রোণ—প্রীত হলাম বৎস! উপযুক্ত ছাত্র হতে হ’লে, কোন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হ’লে—অধ্যবসায়, অভ্যাস, অনুশীলন, চেষ্টা, ঐকান্তিক ইচ্ছা আর গুরুদেবের প্রতি ভক্তি, বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা থাকার প্রয়োজন । অর্জন—আচাৰ্য্য ! ওসকল বিষয়ে কোনদিন কোন অভাব বোধ আমি করবো না—এই আমার ধারণা । দ্রোণ—উত্তম, সাধু বৎস! তোমাদের অনুরাগের পরেই শিক্ষার সাফল্য নির্ভর করচে ! [ শিক্ষালয়ের দ্বারের কাছে, দ্রোণের নয়নান্তরালে একলব্য আসিয়া দাড়াইয়া গুরুদেবের উপদেশ শ্রবণ করিতে লাগিল ] সকলে —আমাদের অনুরাগ যথেষ্ট আছে আচার্য্যদেব ! দ্রোণ—শুধু অনুরাগ থাকলেই হবে না ; ভক্তি-শ্রদ্ধাও চাই । সকলে—আপনার পরে শ্রদ্ধা-ভক্তি আমাদের অচল-অটল থাকবে । দ্রোণ—শুনে সুখী হলাম। বৎসগণ, কিন্তু সৰ্ব্বোপরি একটি কাজ করতে হবে—সেটি হচ্ছে, গুরুদক্ষিণা। সকল কার্য্যে সুফল পেতে হ’লে দক্ষিণার প্রয়োজন । না হ’লে বিদ্যা সফল হবে না । যে যেমন প্রকারে পারবে, দক্ষিণা দেবে । শুনে রাখ, দক্ষিণ না দিলে জগতে চিরকাল ঋণী হয়ে থাকতে হয় শিষ্যদের । X (t