পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

分巧运篇 SA রামায়ণ ও মহাভারতের উপাখ্যান এ দেশের মেযেদের চিরন্তন প্ৰিয় সামগ্রী । গাৰ্হস্থ্য-ধৰ্ম্ম শিক্ষার পক্ষে এরূপ উৎকৃষ্ট গ্রন্থ এ দেশে আর হইতে পারে না । সীতা ও সাবিত্রীর দুঃখ, দয়মন্তী ও চিন্তার পাতিব্ৰত্য এবং বিবিধ কষ্টের বিবরণ নযানের জলে লিখিত ; তাহা পড়িয়া স্ত্ৰীলোকের স্বাভাবিক কোমল হৃদয বিগলিত হইয়া যায়। উপন্যাসেও অনেক সময়ে দুঃখ-কষ্টের বিবরণ থাকে, তাহা পড়িয়াও অনেক সময় চক্ষু হইতে জল পড়ে। কিন্তু পৌরাণিক কাহিনীর সঙ্গে বৰ্ত্তমান উপন্যাসাদির একটা পার্থক্য আছে । বৰ্ত্তমান লেখকগণ অনেক সমঘ শুধু মনে কষ্ট জোগাইবার জন্য কোন পারিবাধিক ঘটনার বর্ণনা করেন। শুধু দুঃখ-কষ্টের বিবরণ পড়িসা মনে ব্যথা পাওয়াতে কি লাভ ? অনেক সময় শিশু যেরূপ প্ৰজাপতিটি ধরিয়া একটি পৌরাণিক উপাখ্যান একটি করিয়া তাহার পাখা ও পা” গুলি ছিড়িয়া আমোদ পাস, লেখক ও সেইরূপ কোন রমণী বা পুরুষের এক দুঃখ হইতে অপব দুঃখে পড়িবার কথা করুণরসের সহিত বর্ণনা করি যা ব্যথা দিয তৃপ্তিলাভ করিয়া থাকেন। কিন্তু এরূপ অনর্থক দুঃখ পাঠকের মনে জাগাইযা কি লাভ হয় ? যদি ধৰ্ম্মের জন্য কিংবা কোন মহৎ ভাবের জন্য কেহ আত্মত্যাগ করিলা কষ্ট পান, তবে সেই বিবরণ পাঠে পাঠকের মন উন্নত হয়, এবং মহৎ ধৰ্ম্মভাবগুলি হৃদযে জাগ্রত হইয়া উঠে। স্বামীর প্রাণলাভের জন্য বেহুল কিংবা সাবিত্রী যে কষ্ট স্বীকার করিয়াছেন, তাহা পড়িয়া কোন মহিলার মন বিস্ময়'ও উচ্চভাবে পূর্ণ না হইবে ? কেহ বা পিতৃসত্য-পালনের জন্য বনে গিয়াছেন, কেহ বা বাল্যকালেই সর্বত্যাগী যোগী সাজিয়া ভগবৎ আরাধনায় প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন, কেহ বা পিতৃস্নেহে চিরকৌমাৰ্য্য অবলম্বন করিয়াছেন, কেহ বা নানারূপ ঐশ্বৰ্য্যের প্রলোভনের উপর পদাঘাত করিয়া পাতিব্ৰত্য-ধৰ্ম্ম উজ্জল করিয়া দেখাইয়াছেন। এই সকল উপাখ্যানের