পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য من ه. وج আলোচনা করলেই সুধী-সমাজ উপলব্ধি করতে পারবেন। রূপামুগ-গৌড়ীয়গণই একমাত্র জ্যোতিঃ-সাহিত্য-সম্পদের পূর্ণ-মালিক ; কেননা, তারাই শ্রীরাধাগোপিন্দের অষ্টকালীয় সেবায় অভিজ্ঞ। প্রাশ্বন্ধযুগীয় “ত্রেধ নিদধে পদম্‌” প্রভৃতি বেদোক্তি কৃষ্ণ-লীলার দৈবরাশি এবং গৌর-কৃষ্ণাদি ভগবৎপ্রাকট্যবিচারে জ্যোতিঃসিদ্ধান্তোপপত্তি-সাহিত্যে আলস্ত অপসারিত হ’লে কৃষ্ণভজনে চিত্ত দৃঢ়তা লাভ করে। গৌড়ীয়-সাহিত্য-নায়কের লীলা গৌড়ীয়-সাহিত্য যে সাৰ্ব্বভৌম-সাহিত্য, এ বিষয়ে বোধ হয়, আমরা একটু দিগদর্শন করতে পেরেছি। এই সাৰ্ব্বভৌম-সাণ্ডিত্যের পূর্ণসম্পুট যখন বৃন্দাবন হ’তে শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য, ঠাকুর নরোত্তম ও শুামানন্দ—এই গৌড়ীয়প্রভুত্রয়ের অধ্যক্ষতায় গৌড়দেশে অবতরণ করছিল, তখন বনবিষ্ণুপুর-পথে সেই গৌড়ীয়-সাহিত্য-মঞ্জুষা অপহৃত হ’লো। এটাও একটা গৌড়ীয়-সাহিত্য-নায়কেরই খেলা । সাহিত্য-সরস্বতীপতি জানালেন,—‘গৌড়ীয়-সাহিত্য এরূপভাবে যুগে-যুগে আক্রাস্ত হবে । কিন্তু আক্রান্ত হ’লেও এ অপ্রাকৃত বস্তুর চিরবিলোপ হ’বে না ’ কিছুদিন পর গৌড়ীয়-সাহিত্য-মঞ্জুষার পুনরুদ্ধার হ’লো। আবার গৌড়দেশে, গৌড়দেশে কেন, সমগ্র বিশ্বে সেই স্বরাষ্ট্ৰ-সাহিত্যে বিস্তার হ’তে থাকূলে । -