পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্যিক-বিভাগ গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণকে আমরা দু’টা প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করতে পারি। র্যার মধ্ব-সাহিত্যের খবর রাখেন, র্তা’র জানেন, মধব-সাহিত্যিকগণের ভিতরে দু’টো বিশিষ্ট সম্প্রদায় আছে। এক সম্প্রদায়ের নাম—ব্যাসকুট, আর এক সম্প্রদায়ের নাম—দাসকুট। এই দুই সম্প্রদায়ই শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের পরে দাক্ষিণাত্যে বিশেষ ব্যাপ্ত হয়েছিলেন। ব্যাসকুট সম্প্রদায়ের সাহিত্য সমস্তষ্ট সংস্কৃত ভাষায়, আর দাসকুট-সম্প্রদায় তাদের কন্নড়-মাতৃভাষায়-ঠাদের কথোপকথনের ভাষায় বিরাট, সাহিত্য-সম্পদ রচনা ক’রেছেন। ‘দ্যায়মৃত’কার ব্যাসতীর্থকে অনেকে ব্যাসকুটসাহিত্য-সম্প্রদায়ের প্রধান স্তম্ভ বলেন, আর কেহ কেহ নরহরিতীর্থকে দাসকুটের প্রতিষ্ঠাতা বলেন । এই দাসকুটের মধ্যে পুরন্দর দাস, কনক দাস, জগন্নাথ দাস প্রভৃতি বহু ত্যাগী এবং ভজনানন্দী পুরুষ কন্নড়-ভাষায় সুললিত-পষ্ঠে ভগবল্লীলার বহু পদ গ্রথিত ক’বে গিয়েছেন। দাসকুট-সম্প্রদায় কেবল লীলাকথা তাদের সাহিত্যে প্রকাশ ক’রে ক্ষান্ত হন নাই, পরন্থ সুললিত পদ্যের মধ্যে বহু বৈদাস্তিক-বিচার লিপিবদ্ধ করেছেন । দাসকুট-সম্প্রদায়ের সাহিত্যে কৃষ্ণ এবং ব্ৰজবধূগণের বিক্রীড়ার কথাও পাওয়া যায়। আর ব্যাসকুট-সম্প্রদায় সংস্কৃত-ভাষায় বেদান্ত