পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ミ> করতে গিয়ে দেখতে পাই, গৌড়ীয়-সাহিত্যের আদিযুগ সেদিন থেকে আরম্ভ হ’য়েছে, যেদিন “অভিজ্ঞঃ স্বরাটু তেনে ব্রহ্ম হৃদ্য য আদিকবয়ে” অর্থাৎ স্বয়ং সাহিত্য-সরস্বতীপতি স্বরাটুম্বন্দর যেদিন আদিকবি চতুর্মুখের বুদ্ধিবৃত্তি প্রবর্তন ক’রে র্তাকে শ্রুতি-সাহিত্য-সাম্রাজ্যে অভিষিক্ত করলেন। সেই সাহিত্য-সাম্রাজ্য-সিংহাসনের কৌস্তুভমণিই— চতুঃশ্লোকী। সেই সাহিত্যের সামগান নারদের বীণায় বস্তৃত হয়ে উঠলো; নারদের বীণা থেকে বাদরায়ণের সহজ সমাধিতে সঞ্চারিত হ’লো। আবার বাদরায়ণ হ’তে সেই সাহিত্য-সরস্বতী শুকদেবের রসনায় রসামৃত-রসায়ন রচনা করলো। সেই সাহিত্য-রসামৃত বিষ্ণুরাত ও লোমহৰ্ষণিকে সুধামান করিয়ে গোমতীর তীরে নৈমিষ-কানন-কুঞ্জে স্থত গোস্বামীর জিহবfপ্রাঙ্গণে বিপুল বন্যা আনয়ন করলো। যখন নৈমিষকাননে সাহিত্য-মুধা-সুরধুনীর সেই বান ডেকেছিল, তখন শৌনকাদি মুনি তাদের রাহিত্য-চিন্তাস্রোত আর রক্ষা করতে পারলেন না । ষাটহাজার শ্রেষ্ঠ-ঋষি এক সময় সাহিত্য-স্বৰ্গঙ্গায় অবগাহন করলেন। সেই সাহিত্য-স্বনদীর বদ্যা ক্রমে সাত্বত-আচার্য্যগণের অভিষেকবারিরূপে পাণ্ড্যদেশের চন্দনবনে, দক্ষিণাপথের মুঙ্গেরপত্তনে, আন্ধ দেশের মহাভূতপুরীতে, ম্যাঙ্গালোরের পরশুরামক্ষেত্রে প্রবেশ করে গৌড়পুরের নিত্য-প্রবাহিত ভাগীরথী-ধারার সঙ্গে মিলিত হ’লো। তখনই গৌড়দেশের জয়দেব-সরস্বতী গৌড়ীয়