পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সূর্য্যের গ্রহণ
৪৩

সন্ধ্যার সময়ে যেমন তেঁতুল, লজ্জাবতী প্রভৃতি গাছের পাতা বুঁজিয়া আসে, সেই রকম গাছের পাতা বুঁজিতে লাগিল। জ্যোতির্ব্বিৎ পণ্ডিতগণ এই রকমে দুপরে সন্ধ্যা দেখিবার জন্যই কি এত খরচপত্র করিয়া দূরদেশে আসেন? কিন্তু তাহা নয়।

 আগেই তোমাদের বলিয়াছি, সূর্য্যের উপরে তিনটা বাষ্পমণ্ডল পর-পর সাজানো আছে। প্রথমটাকে অর্থাৎ যেটা সূর্য্যের গায়ে লাগিয়া আছে, তাহাকে আমরা আলোক-মণ্ডল নাম দিয়াছি। ইহার উপরে যে দুটা বাষ্প-আবরণ আছে, আমরা তাহার বর্ণমণ্ডল ও ছটামণ্ডল নাম দিলাম। আলোকমণ্ডলকে খালি চোখে বা দূরবীণ দিয়া বেশ দেখা যার; কিন্তু বর্ণমণ্ডল ও ছটামণ্ডলকে দুরবীণ দিয়াও দেখা মুষ্কিল। সূর্য্যের আলোক-মণ্ডলের আলো সূর্য্যকে সর্ব্বদাই এমনি উজ্জ্বল করিয়া রাখে যে, কোন্‌টা আলোকমণ্ডল, কোন্‌টা বর্ণমণ্ডল এবং কোন্‌টাই বা ছটামণ্ডল, তাহা একেবারেই বুঝা যায় না। তবে এগুলিকে পৃথক্ করিয়া দেখিবার উপায় কি? এই উপায়টা জ্যোতিষীরা সূর্য্যের পূর্ণ গ্রহণের সময়েই কেবল দুই চারি মিনিটের জন্য পাইয়া থাকেন। গ্রহণের সময়ে সূর্য্যকে ও তাহার গায়ের আলোকমণ্ডলকে চাঁদ ঢাকিয়া ফেলে, কাজেই বাহিরে দেখিতে পাওয়া যায় কেবল উহার বর্ণমণ্ডল ও ছটামণ্ডল। এই দুইটি দেখিয়া তাহাদের বিষয় ভাল করিয়া জানিবার জন্যই এত কষ্ট করিয়া জ্যোতিষীরা সূর্য্য-গ্রহণ দেখিবার জন্য বাহির হন।