পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । >२ €: চাই কি, তাহা একটু খুলিয়া বলা উচিত। অভএৰ ধৰ্শ্ববিদ্যা কাহাকে বলে ? বাহ অনুষ্ঠানে মানুষ কিরূপ আকার প্রকার ও বিভূতিবিশিষ্ট দেবতার অর্চনা করিয়া থাকে, তাহা লইয়া মানুষের ধৰ্ম্ম নহে । অনেকে গীর্জায় গিয়াও প্রকৃত খৃষ্টান-শব্দে বাচ্য হয় না ; অনেকে রাধাকৃষ্ণ-মূৰ্ত্তির নিকট মাথা নোয়াইলেও হিন্দু-নামের যোগ্য হইতে পারে না । পুনশ্চ হিন্দুর ঘরে জন্মিলেও হিন্দু হয় না ; খৃষ্ঠানের ঘরে জন্মিলেও খৃষ্টান হয় না। অথবা কেবল কোন বিশেষ সাম্প্রদায়িক দেবোপাসনাহেতু, কাহাকে কোন বিশেষ ধৰ্ম্মের ধর্মী বলিয়া অভিহিত করা যাইতে পারে না। আমি এই কথা বলিতেছি বটে, কিন্তু সাংসারিক চলিত ব্যবহার অন্তরূপ ; অর্থাং ভিতরে যাহাবু যাহ খাকুক, বাহ অনুষ্ঠানে মানুষকে যেরূপ সম্প্রদায়ানুগত বলিয়া দৃষ্ট হয়, তাহাকে সেইরূপ সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মের ধৰ্ম্মী বলিয়া গণন করা হইয়া থাকে। এরূপ করার কারণ আছে,—সাংসারিক ব্যবহারে বিশ্বাস এই যে, দেবতত্ত্বই ধৰ্ম্মতত্ত্ব এবং দেবোপাসনাই ধৰ্ম্ম । বল বাহুল্য ইহা ভ্রান্ত বিশ্বাস ! এই ভ্রান্ত বিশ্বাসহেতু, অধুনাতনকালে প্রায় সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়েরই মধ্যে অভু্যদয় ও উন্নতির পরিবর্তে, অধোমুখত ও অবনতি নানা প্রকারে দৃষ্ট হইয়া থাকে ; ভ্রাস্তির ফল, অবনতি ভিন্ন আর কি হওয়া সম্ভব ? কেবল বাহ অনুষ্ঠানে নহে, অভ্যন্তরভাগেও যখন মানুষ কোন এক বিশেষ ধৰ্ম্মপ্রভাবে সম্পূর্ণতঃ ও সৰ্ব্বতোভাবে ধৰ্ম্মপ্রাণতা প্রাপ্ত হয়, তখনই তাহাকে সেই ধৰ্ম্মবিশেষের ধৰ্ম্মী বলা যাইতে পারে। কেবল দেবতত্ত্ব ধৰ্ম্মতত্ত্ব মহে, তবে ধৰ্ম্মতত্ত্বের একটা অতি প্রধান অঙ্গ বটে ; সেইরূপ কেবল দেবোপাসনাও ধৰ্ম্ম নহে, তবে ধর্শ্বের