পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব"। Y 8 & কাষ্ঠে অগ্নিসংগ্রহ স্বপ্তভাবে সৰ্ব্বদাই আছে । কাষ্ঠের প্রকারভেদে, যে যে কাষ্ঠ যে পরিমাণে স্বর্যন্তাপ অগ্নিরূপে সংগ্ৰহ করিতে পারে, সে সেই পরিমাণে দহগুণবিশিষ্ট । সংঘর্ষ বা অগ্নিস্ফুলিঙ্গৰোগে সেই অগ্নি জাগরিত বা উদ্দীপিত হয়। সকল কাঠেই অগ্নি সমানভাবে উদ্দীপিত হয় না, কোথাও ধোয়া, কোথাও ধীরে, কোথাও একেবারে উদ্দীপিত হয় ; আবার কোথাও বায়ুমণ্ডলের প্রতিকূলতায় ও আকাশের সংস্রবে, উদ্দীপিত্ত অগ্নিও নিৰ্ব্বাপিত হইয়া অঙ্গরমাত্র অবশিষ্ট হইয়া থাকে । মানবে ধৰ্ম্মপদার্থ তদ্রুপ, বিভিন্ন জাতি, ব্যক্তি বা শ্রেণী ভেদে যথাকর্মস্থত্রানুরূপ বিভিন্ন পরিমাণে নিহিত । আত্মচিন্তা প্রভাবে বা উপদেশ সহযোগে, পাত্র অনুসারে, অম্বরূপ উদ্দীপিত হইয়া অনুরূপ তেজোধারণে কাৰ্য্যকরী হয় ; আবার অনেক স্থলে উদ্দীপিত হইয়াও প্রতিকূল কারণযোগে নির্বাপিত श्ब्रां অঙ্গরাবশিষ্ট হইয়া থাকে,— ইহারাষ্ট এ জগতে নাস্তিক ও পাষণ্ড নামে খ্যাত। যদি কোথাও পুনঃ সৰ্ব্বদেব ঋত্বিক অগ্নিদেব মূৰ্ত্তিমান প্রকটত না হইয়া সুপ্তভাবেই থাকেন, তথাপি কাষ্ঠ অব্যবহারে যায় না । সুধু কাঠের নানারূপ ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা যখন আছে, তপন অপ্রকটতধৰ্ম্ম অসভ্য জাতির প্রয়োজনীয়তা না থাকিবে কেন, এবং কেমন করিয়াই বা বলিবে যে, সে একেবারে ধৰ্ম্মপদার্থের অস্তিত্বপরিশূন্ত ! সকল প্রকারের প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহারসমষ্টি লইয়াই জগৎ ও জাগতিক ক্রিয়া । কিন্তু এক কথা আছে বাঞ্ছারাম, কখন কখন এমন বিসদৃশ দৃশুও দেখা যায় যে, অপ্রকটত-অগ্নি কাষ্ঠ এবং দগ্ধাবশিষ্ট অঙ্গার, এ দুয়ের মধ্যে অঙ্গারের প্রয়োজনাধিক্য অধিক ; মনে কর যেন কাচ ভেরেণ্ডাক ঠ আর তেঁতুল কাষ্ঠের অঙ্গর ; ইহাকে কি বলা যাইবে বল দেখি ?—উৰ্দ্ধ সংখ্যায় এই , е