পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাৰ । た電@ পিঞ্জরবন্ধ মানবচিত্ত পিঞ্জরমুক্ত হইবার নিমিত্ত উন্মত্তবং ছট্‌ফট্‌ করিতেছে,—পিঞ্জরের দ্বার বদ্ধ। বিনষ্ট দিক-অন্ধকারে ভ্রান্ত পথিক নদর্শনী আলোক-দৰ্শন লালসায় এদিক ওদিক ধাবিত হইয়া কুশকাটায় রক্তারক্তি হইতেছে,—অথচ কোথাও নিদর্শনী আলোকের চিহ্নমাত্র নাই । আৰ্য্য-ঋষি যখন এই ঘোর চিন্তাতরঙ্গে পড়িয়া আকুলিত । হইতেছেন, তখন একবার গ্রীকচিত্তের প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া দেখ। হিন্দুচিত্ত যখন প্রকৃতি-করুণায় স্বচ্ছন্দে আহার-লালসাকে অতিক্রম করিয়া, জীবনের তদুৰ্দ্ধতর অবলম্বনের অনুসন্ধানে অচিন্তনীয়কে ভেদ করিতে উদ্যত হইয়াছে ; গ্রীকচিত্ত হয়ত তখনও আহারলালসাকেই মুখ্য অবলম্বন করিয়া, তাহার অনুসরণে নানাদিকে ছুটাছুটী করিয়া ফিরিতেছে । “সকল কৰ্ম্ম ফেলিয়া, আগে একটি ঘর, একটি স্ত্রীলোক এবং একটি হাল গরু করিবে ; স্ত্রীলোকটি যেন ক্রীতা, বিবাহিত না হয়, এবং গবাদিচারণে পটু হয়।” “যে কিছু যন্ত্রাদির আবশ্বক তাহা ঘরে সংগ্ৰহ করিয়া রাথিও, নতুবা অন্তের কাছে চাহিলে যদি সে না দেয়, তবে তাহার অভাবে সময় উত্তীর্ণ হইয়া গেলে সমস্ত শ্রম বিফল হইয়া যাইতে পারে।” অথবা, “গৃহ যাহাতে আহারীয় বস্তুতে পূর্ণ থাকে, এরূপ শ্রমে সন্তোষ লাভ করিতে শিখ। শ্রমেই লোকে ধনধান্তপূর্ণ ও স্বচ্ছলতাযুক্ত হইয়া থাকে। এরূপ শ্রমেই লোকে দের ও মানবের প্রিয়পাত্র হয়।” ষে হেসিওদ আপন ভ্রাতাকে এবং ভ্রাতার উপলক্ষে সমস্ত গ্ৰীকৰৰ্গকে এরূপ উপদেশ দিয়াছিলেন ; র্তাহার বর্ণিত স্থষ্টি ও দেবতত্ত্ব হয়ত তখনও ভবিষ্যতের দূরতম গর্ভে নিহিত ছিল ।

  • Hesiod, Works and Days, 3o9-312, 4o7-4o9.