পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: (ty গ্রীক ও হিন্দু। কখনও বা মদচোয়ানর সাহায্য করেন ; কখনও বা ভাল অস্ত্ৰ শস্ত্র প্রস্তুত ; আবার কখন বা রণস্থলে যাইয়া, বীরগণের সাহায্যে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন । ফলতঃ দেবতাই হউন আর যিনিই হউন, গ্ৰীকসংসারে বিনা খাটুনিতে খাইবার সাধ্য নাই। “লেন-দেন” বিজ্ঞান হাতে হাতে। গ্রীকদিগের দেবতা হওয়াও দায় ! প্রকৃতি হারি মানিলেন, র্তাহার প্রদত্ত পারলৌকিক ভাবাভাস লৌকিকে আসিয়া পরিণত হইল । এক্ষণে ভারতচিত্তের প্রতি একবার দৃষ্টিপাত কর –দারুণ ঘূর্ণবায়ুতে ঘোর তিমিরে পথভ্রষ্ট পথিকের ন্যায় আকুল হইয়া ঘুরিতেছেন। কি দুরন্ত ঘূর্ণন ! কিন্তু ঘূৰ্ণবায়ু বা ঘোর তিমির, ইহার কেহই স্থায়ী নহে। কালে সকলই তিরোহিত হইয়া থাকে। ক্রমে ঘূৰ্ণবায়ুর সাম্য হইল, প্রচণ্ড বায়ু ধীরে ধীরে নামিয়া মুখস্পর্শ শীতল রায়ুতে পরিণত হইল। ঘোর অন্ধকার ক্রমে ক্ষীণ অন্ধকারে নামিল, পূৰ্ব্বদিক্‌ ফরসা ফরসা বোধ হইতে লাগিল ; আরও ফরসা— আরও ফরস, ক্রমে বস্তুনিকর নয়নপথে পড়িতে লাগিল। পূর্ব অশান্তির অপলোপে মন তখন রমণীয়তায় পরিপূরিত হইলে, সমগ্র দৃশ্বের যখন যে খণ্ড নয়নকে আকৃষ্ট করিতেছে, তাহাই যেন অভিনব নূতন স্থষ্টি বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে —আর্য্য-ঋষি এখন পথ পাইয়। প্রতি প্রাকৃতিক শক্তিতে দেবতাবিশেষের অবস্থান ও কর্তৃত্ব দেখিতে পাইলেন। তথাপি, এ বহু দেবকল্পনা গ্রীকদিগের অপেক্ষা উচ্চতর হইলেও, মনের শান্তি কিন্তু পূর্ণভাবে উদয় করিতে পারিল না। আর্য্যখবি আবার সর্বশান্তি-বিধায়কের অনুসন্ধানে চলিলেন । এ দিকে ফরসার উপর আরও ফরসা হইতে হইতে সুৰ্য্য আসিয়া উদয় হইল, দিক সকল হাসিতে লাগিল ; ভ্রান্ত পথিক এখন তৃপ্তপ্রান্তি, দেখিতে