পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । אשכי( উপাধি অভিমান হেতু পৃথকত্ব ও পৃথক দেবত্ব ; যদ্রপ আত্ম সমষ্টিভাবে যদিও এক, তথাপি পৃথক পৃথক্ শরীরাভিমান হেতু পৃথক পৃথক জীবত্ব । সে যাহা হউক, এরূপ মধ্যবৰ্ত্তী লোকপালের ধারণা, আমার যেন বোধ হয়, স্বাভাবিক –স্বাভাবিকতা হেতু সত্যপূর্ণও বলা যাইতে পারে। যে হেতু দেখিতে পাওয়া যায় যে, সকল জাতীয় দেবত্বই, জীব ও ঈশ্বরে মধ্যবৰ্ত্তা দেবতার অস্তিত্বে যে বিশ্বাস, তাহা একেবারে পরিত্যাগ করিতে পারে নাই। এমন কি, খৃষ্টীয় ও মহম্মদীয় ধৰ্ম্মে পৰ্য্যন্ত, এই মধ্যবৰ্ত্তী দেবতার অস্তিম্ব দেখা যায় ; যদিও তথায় তাহাদের দেবতা নামের পরিবর্তে বিভিন্ন বিভিন্ন কাৰ্য্যভারপ্রাপ্ত ‘স্বৰ্গীয় দূত’ নাম ব্যবহৃত হইয়াছে। এখন বোধ হয় প্রতীত হইবে যে, হিন্দুরা কি প্রকারে একই সঙ্গে একেশ্বরবাদ ও হুদেবতাবাদ, উভয় মত পোষণ করিয়াছিলেন । সৰ্ব্বব্যাপী এক ঐশ্বরিক সত্তার গুণকাৰ্য্যবিভাগ ও উপাধিভেদে পৃথকত্ব হেতু, দেবতত্ত্বে এক মুথে বহুত্ব, আর মুথে একত্ব বর্ণিত হইয়াছে। সেই জন্য হিন্দুরা কখনও বহুদেবতা পৃথকভাবে পুজি করিয়াছেন, কখনও তাহাদিগকে একরূপের বহুধা কল্পনা বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন। পুনশ্চ, উক্ত বহুত্বকে মূলে ঈশ্বরেরই মহিমাবিকাশ বুঝিয়া, দেবতাদের মধ্যে কি কি স্থায়ী সম্বন্ধভেদ, কি স্থায়ী শ্রেষ্ঠ-নিকৃষ্টতা আদি শ্রেণিনিৰ্ব্বাচন, তাহাতে আবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন নাই। আদিম হিন্দু ধৰ্ম্মবীজের প্রথম ফুরণে নিসর্গশক্তি সকলে যে দেবতা কল্পনা করিয়াছিলেন, বৈদিক হিন্দু তত্ত্বপথে প্রধাবিত হইয়া তত্ত্ব উদঘাটনের দ্বারা, তাহাকে এরূপে সংস্থিত ও তাহার সামঞ্জস্ত করিয়া লইলেন । • আরও কথা এই। মানব আত্মিকভাবে, পরমাত্মার ব্যষ্টিরূপ এবং আর সমস্তভাবে, সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডতত্ত্বের স্বল্পরূপ । এজন্ত কি আধ্যাতিক