পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । , ఇ99 সন্মুখ যোদ্ধার যে কিছু দোষ গুণ, তদ্বারা পরিচালিত। সংগ্রামে বিধ্বস্ততা ও শ্রমক্লিষ্টতায়, সৎ বাহা তাহাই এখন শত্রুরূপে প্রতীয়মান হইয়া থাকে ; কেবল শত্রু নহে, কখন কখন তাহাকে ছন্নস্বপক্ষ ও ঘরের শত্রু ভাবিয়া, রাগে ও বিরক্তিতে বিপক্ষ অসৎকে বন্ধু ভাবিয়া তাহার শরণাপন্ন হয় ও ক্ষণিক শান্তির প্রলোভনে তাহার আশ্রয়গ্ৰহণে ব্যগ্রত প্রকাশ করিয়া থাকে। মানবের এই মধ্য সময়—এই পতনদশটিই—বুদ্ধিমানের কাল, জ্যেষ্ঠত্ব বিস্তারের সময়, বিস্তার জাহাজগিরি ও তর্করঙ্গের ছড়াছড়িতে ব্যগ্র । মানব এখন স্বীয় তেজে উন্মত্ত বণ্ডের ন্যায় মদবিক্ষিপ্ত। কিন্তু এই সময়ে, এই ঘূর্ণবৰ্ত্তমধ্যেই আবার ভাবী শুভাশুভের বীজ যাহা, তাহাও উপ্ত হইয়া থাকে । মানবের এই ত্ৰিবিধ বিভিন্ন অবস্থার অবলম্বন পদার্থও ত্ৰিবিধ । অজ্ঞান বালকের অবলম্বন, পরিশুদ্ধ ঐশ্বরিকসত্তাময়ী প্রকৃতি দেবী স্বয়ং ; মধ্যাবস্থার অবলম্বন, বুদ্ধি এবং বিচারণাশক্তি ; সজ্ঞান বালক বা চূড়ান্ত অবস্থার অবলম্বন, শ্রদ্ধা এবং ভক্তি। উক্ত তৃতীয় অবস্থার উপস্থিতিতে শয়তান যখন দূরীভূত হওয়ায়, বিভিন্ন অর্থের অভাবে স্বার্থকে বলি দিবার সময় আসিয়া উপস্থিত হইবে, তখনই আবার স্বার্থক্ষয় দ্বারা মহাবলির আশ্রয় হেতু ঈশ্বরসত্তা পুনৰ্ব্বার অবলম্বনস্থল হওয়ায়, মানবের পুনমুক্তি—খৃষ্টীয় নষ্ট ইডেনের পুনরুদ্ধার হইবে । প্রথম অবস্থার বিষয়ীভূত বিদ্যা যাহা, তাহ অবশুই সহজ জ্ঞান এবং ধূলাখেলা ; দ্বিতীয় অবস্থা বা বুদ্ধি এবং বিচারশক্তির বিষয়ীভূত বিষ্ঠা যাহা, সং-অসৎ বোধের মুনির্ণয় যথায় উদ্দেশ্য, তাহাকে তত্ত্ববিদ্যা কহ যায়। শ্রদ্ধা এবং ভক্তির বিষয়ীভূত বিস্ত যাহা, তাহ ধৰ্ম্মবিদ্যা । তত্ত্ববিদ্যার বিষয় এক্ষণে আলোচ্য ।