পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిల్ను গ্রীক ও হিন্দু । পুনঃ ক্রিয়ামার্গে, প্রথম অবস্থার সম্বল চিত্তচালনা ; দ্বিতীয় অবস্থার সম্বল বুদ্ধিচালনা ; এবং তৃতীয় অবস্থার সম্বল হৃদয়চালনা । তত্ত্ববিদ্যা সেই বুদ্ধিচালনা হেতু সাধারণ দূরদর্শনফলে উৎপন্ন। ধর্শ্ববিদ্যা যেমন অন্তর্জগৎ ও বহির্জগৎ লইয়া অস্তদৃষ্টি উভয়বিধ দৃষ্টিযোগে কাৰ্য্য করিয়া থাকে, তত্ত্ববিদ্যার স্বভাব সেরূপ নহে ; একমাত্র বহিদৃষ্টি প্রধানতঃ ইহার উপায়। এইজন্য তত্ত্ববিদ্যা এতটা হৃদয়শূন্ত এবং এই জন্তই লোকে, একজন অতি সামান্তালোকসম্পন্ন ধৰ্ম্মশিক্ষকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিবে তাহাও স্বীকার, তথাপি তত্ত্ববিদ্যা যত উচ্চ পৰ্য্যায়ের হউক না কেন, প্রাণ মন বিক্রয় করিয়া কখনও তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করিতে চাহিবে না। একজন সামান্ত শিক্ষকের ধৰ্ম্মখাতিরেও লোকে প্রাণধন সৰ্ব্বস্ব বিসর্জন করিয়াছে, এ দৃষ্টান্ত বিরল নহে; কিন্তু তত্ত্ববিদ্যা যত উচ্চ হউক, তাহার খাতিরে কাঙ্গকে কখনও সেরূপ করিতে দেথিয়াছ কি ? কথায় মরা ও কাজে মরা যতটা অন্তর, বুদ্ধি এবং হৃদয়ে তদপেক্ষা কম অন্তর নহে। ফলতঃ ধৰ্ম্মবিদ্যা যত নিম্ন পৰ্য্যায়ের হিউফ, যদি সাত্ত্বিক হয়, তবে তাহ সৰ্ব্বদা কোন না কোন মানবসমক্ষে গ্রহণীয় এবং ভক্তির বিষয় হইবেই হইবে ; কিন্তু তত্ত্ববিদ্যার পক্ষে সেরূপ নহে। উহা যতই উৎকর্ষযুক্ত হউক না কেন, কেবল আদরণীয় ও পরামর্শদাতৃস্থলীয় হইয়৷ থাকে । কিন্তু তাই বলিয়া ইহাও ভাবি ও না যে, তত্ত্ববিদ্যা ( যদি তাহা সাত্ত্বিক এবং সুপ্রকৃতিযুক্ত হয় ) সংসারে অতি সামান্ত কাৰ্য্য করিয়াই নিরস্ত হইয়া থাকে। তত্ত্ববিদ্যা হইতেই ধৰ্ম্মবিদ্যা সুনিৰ্ম্মল ও সুদৃঢ় হইয়া থাকে। এ সংসারে যেমন অন্যান্ত বিষয়ে, তেমনি ধৰ্ম্ম বিষয়েতেণ্ড, “কেন" হেতু অনেক আটকাইয়া যায়। সোজা কথায়, সেই “কেনর উত্তর দানের নাম তত্ত্ববিদ্যা। ইহা