চতুর্থ প্রস্তাব । . స్సారిe অধিকারে উস্তত, আবার অধিকাংশ লোক শুক নীতি শিথিয় ও শিথাইয়া উদেহু সাধিয়া লইবার জন্য ব্যস্ত। ধৰ্ম্মশূন্ত, কৰ্ম্মশূন্ত, কৰ্ত্তব্যজ্ঞানশূন্ত যে নীতি, তাহ নব্য বাঙ্গালির মূলশূন্ত স্কুলপণ্ডিতী নীতি ; এরূপ নীতিজ্ঞের ধৰ্ম্মও যদ্রুপ, কৰ্ম্মও তদ্রুপ । কেহ বা আরও চতুরের চূড়ামণি, জমাওয়াশিলবাকীর দ্বারা পাপপুণ্যের হরণ পূরণ করিয়া পুণ্যলোক অধিকারে অসন্দিগ্ধচিত্ত। জুয়াচুরি কর, অপহরণ কর, কিন্তু আহ্নিক করিও বা গঙ্গায় নাহিও, পাপ কাটিবে ; লোকের সৰ্ব্বনাশ কর, ঘর জ্বালাইয়া দেও, কিন্তু সেই অর্থে পুজা করিও বী ব্রাহ্মণকে দান দিও, তোমার মুক্তি হইবে। এ সকল কি নীতি, না ধৰ্ম্ম ? উহ নীতিও নহে, ধৰ্ম্মও নহে ;–বহুকালের গতাম্ব নীতি ও ধৰ্ম্মতত্ত্বের বহু পুরাতন ও পরিত্যক্ত জীর্ণশন্ধের উহা প্রাগলভ প্রকটন মাত্র । উহ অনীতি এবং অধৰ্ম্ম । ফলতঃ তত্ত্বাদি সহযোগে প্রকৃতির উন্নয়ন ব্যতীত, নীতি ব৷ ধৰ্ম্মতত্ত্বাদির শিক্ষা এবং প্রয়োগ, অবিকল গ্যালবানিক ব্যাটারী অর্থাৎ ৷ তাড়িতপ্রবাহের বেগসংযোগে শরীরযন্ত্ৰে সঞ্চালন-শক্তি উৎপাদন করার ন্যায় ; উভয়ই অফলপ্রদ বা উৰ্দ্ধসংখ্যায় ক্ষণিক ও মাত্রামাত্র ফলপ্রদ। "চুরি করিও না”, এ নীতি এ কাল ধরিয়া সকলেইত ঘোসণা করিয়া আসিতেছে, তথাপি লোকে কেন চুরি করে, কেনষ্ট নিত্য জেলখানা পরিপূর্ণ হয়, কেনই বা লোকে চুরি করায় আজি পৰ্য্যন্ত বিরত হইতে শিখিল না ? তাহার কারণ, বাঞ্ছারাম, শিক্ষার সঙ্গে প্রকৃতির উন্নয়নের অভাব ; সুতরাং সে নীতি চিত্তস্থ বা কণ্ঠস্থ থাকিলেও, হৃদয়স্থ হইতে পারে নাই এবং হৃদয়স্থ না হইলে, প্রকৃত ফলও কখন ফলে না। এরূপ গুস্কনীতিবাদী এক্ষণকার বাইশরাম-সম্প্রদায়ভুক্ত প্রায় সকলেই ; যদিও বিদ্যাভিমান
