পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిy - औक ७ श्न्नूि। সহস্ৰ সুশিক্ষা ও সহস্ৰ সুনীতি চাপান সত্ত্বেও সুপ্রকৃতিমুক্ত কথন হয় না, তেমনি আর কতকগুলি লোক আছে যে, সহস্ৰ কুশিক্ষা ও কুদৃষ্টান্ত সত্ত্বেও তাঁহাদের স্বপ্রকৃতি কখনও বিকৃতি প্রাপ্ত হয় না। ইহাদিগকেই লোকে যথার্থতঃ স্বভাবসিদ্ধ দিব্যপ্রকৃতি বলিয়া আদর করিয়া থাকে। প্রাথমিক বালকত্বের যে দিব্যভাব, তাহ আজীবন ইহাদের সঙ্গে সম্বন্ধ রক্ষণ করিয়া থাকে ; সুতরাং এরূপ প্রকৃতি যাহাঁদের, তাহারা তত্ত্ববিদ্যার অপেক্ষা না বাথিয়া একবারেই ধৰ্ম্মবিদ্যার আশ্রয় স্বচ্ছন্দে গ্রহণ করিতে পারে এবং তাঁহাতে বিশেষ কোন ক্ষতি হয় না । পুনশ্চ, তত্ত্বশিক্ষা শুনিলেই ভাবিও না ষে, সকলকেই যেন ঘট পট ষত্ব ণত্ব আদি জ্ঞান শিখিতে ও নানাবিধ পুস্তক পড়িতে হইবে । শিক্ষণ যাহা, তাহা যে কোন বিষয়ের হউক, দেশকালপাত্র অনুসারে, ক্ষমতা ও পরিমাণ অনুরূপ হওয়া উচিত এবং তাহ কেবল পুস্তক না পড়িয়া আরও নানাবিধ উপায়ে সাধিত হইতে পারে। তত্ত্ববিদ্যা দ্বারা যে স্বফল কতটা ফলিতে পারে এবং প্রয়োজনীয়তাও যে তাহার কতদূর, তাঁহা উপরে বলিয়া আসিলাম। কিন্তু তত্ত্ববিদ্যাকে কখন কখন আবীর বিরুত ফলও প্রসব করিতে দেখা যায় । তাহার কারণ, যদি সে তত্ত্ববিদ্যায় সাত্ত্বিক বুদ্ধির অভাব হয় ; অথবা তত্ত্ববিদ্যায় যদি কেবল প্রতিপক্ষ অংশের অনুসরণ করিয়া সপক্ষ অংশের সংস্রব ছাড়িয়া যাওয়া হয় ; অথবা উভয় পক্ষের অনুসরণ করিয়াও, যদি তাহদের উভয়েরই প্রকৃত উদ্দেশ্বে দৃষ্টিশূন্ত হওয়া যায়। অতএব, সাবধান, সৰ্ব্বদা যেন সাহসিকতা ও সোৎলাহে অথচ বিজ্ঞতার সহিত পদ সঞ্চরণ করিও । মানবজীবনের অবলম্বন এবং উদ্দেশু দ্বিবিধ, ধৰ্ম্ম এবং কৰ্ম্ম । ধৰ্ম্ম ভাগ, আধ্যাত্মিক গুণপ্রধান এবং কৰ্ম্মভাগ, আধিভৌতিক গুণপ্রধান ;