পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 db” গ্রীক ও হিন্দু । জননভাব সম্বন্ধে প্লেটাে বলিতেছেন যে, উহা সহজ জ্ঞানযুক্ত ইঞ্জিয়ের দ্বারা অনুভূত হইতে পারে। কিন্তু ইঞ্জিয়ক্রিয়া জষ্ঠ এই অনুভূতিতে বিশ্বাস করিতে নাই ; যেহেতু পদার্থরূপ ভ্ৰমাত্মক, এজন্ত তত্ত্বৎপন্ন জ্ঞানও ভ্ৰমাত্মক ; সুতরাং তাঁহা ক্ষুন্নতা ও অসৌন্দর্য্যের কারণ স্বরূপ হয়। পূর্ণতা ও পূর্ণ সৌন্দর্য্যের কারণ, নিত্যভাবোথিত জ্ঞান এবং সে জ্ঞান লাভ হইতে পারে একমাত্র বিবেকবুদ্ধি পরিচালনা দ্বারা, নতুবা অন্ত প্রকারে হয় না । এজন্ত প্লেটো বলিতেছেন যে, যে কোন অনুষ্ঠান বিষয়ে বিবেকজাত নিত্যভাবোখিত জ্ঞানকে অবলম্বন করিলেই, অনুষ্ঠিত বিষয় পূর্ণ ও সৌন্দৰ্য্যশালী হইতে পারে, নতুবা অন্তরূপে হয় না। আমরা দেখিতেছি যে, এই স্থই নিরূপম সৌন্দর্য্যশালিনী । অতএব ইহা নিশ্চয় হইতেছে যে, পরমেশ্বর ইহার স্বাক্টতে নিত্য ভাবকেই মূলস্থানে অবলম্বন করিয়াছিলেন। এক্ষণে কথিত ভাব দুইটির সমাবেশ স্থল স্বাক্টর উদয় হইল কিরূপে ? তৎসম্বন্ধে প্লেটাে বলিতেছেন –পরমেশ্বর ইচ্ছা করিলেন যে, সকল বস্তুই উৎকৃষ্ট ও সুন্দর হওয়ার প্রয়োজন ; এজন্য এই প্রয়োজন পুরণার্থে সৰ্ব্বপ্রথমে নিয়মশূন্ত প্রবল ঘুর্ণাস্থলে নিয়মের উদয় করিলেন এবং সেই নিয়ম এই স্বাক্টর নিয়ামক হইল। তাহার পর, যাহা কিছু জন্মবিশিষ্ট, তাহ অবহু শারীরিক আকারবিশিষ্ট এবং দর্শনীয় ও স্পর্শনীয় হইবার কথা । এই স্বষ্টি জন্মবিশিষ্ট, এ নিমিত্ত ইহাকে দর্শনীয়ত্ব ও স্পর্শনীয়ত্ব আদি গুণ প্রদান করিবার জন্ত পরমেশ্বর অগ্নি, জল, বায়ু ও মৃত্তিকা এই ভূতচতুষ্টয়ের সমাবেশে ইহাকে নিন্মাণ করিলেন । যেহেতু পরমেশ্বর নিজের অনুরূপতায় এই স্বাক্ট করিয়াছেন ঃ এজন্ত স্বষ্টি, ঐশ্বরিক মহাসত্বা বা মহা আইডিয়ারূপ যাহা, তাহার অবিকল বাহ-প্রচার স্বরূপ হইল ; সুতরাং ইহার অঙ্গসৌষ্ঠবেরও আর