পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ఇd:నె কোথাও কোন ক্ষুণ্ণত রহিল না। আকারে ইহা গোলাকার হইল, কারণ গোলাকারই সম্পূর্ণ মূৰ্ত্তি এবং আর যাবতীয় আকার এই গোলাকারের অন্তভূর্ত হয়। গোলাকার হেতু, এই স্থই সৰ্ব্ববিধ আকারের অধিষ্ঠানভূত এবং জননীস্বরূপ হইল। বিনা বুদ্ধিশালিত্বে কোন পদার্থ সৌন্দৰ্য্যশালী হইতে পারে না, বিনা চৈতন্তে বুদ্ধিশালিত্ব হয় না এবং চৈতন্য আবার আত্মার অনস্তিত্বে সম্ভবপর নহে। কিন্তু স্থষ্টিকৰ্ত্ত স্বয়ং সৎ, এজন্য তিনি সতেরই স্থষ্টি করিয়া থাকেন। অতএব সেই সততার বশবৰ্ত্তী হইয়া, তাহার স্বল্পকে পূর্ণ সৌন্দর্যময়ী করিবার নিমিত্ত পূৰ্ব্বে যে আত্মার স্বইপ্রকরণ বলা হইয়াছে, সেই আক্ষ্মপদার্থকে আনিয়া স্থষ্টির অভ্যন্তরে নিহিত করিয়া, স্বঠকে আত্মাবিশিষ্ট এবং মহাবুদ্ধি ও জ্ঞানশালিত্বের অধিকারিণী করিলেন । বলা বাহুল্য যে, আত্মাপ্রাপ্তে স্থষ্টি আত্মাবান অদ্বিতীয় মহাজীবের স্বরূপ হইল। (১৬) (১৬) পীথাগোরীয় সাম্প্রদায়িক তত্ত্ববিদেরাও, পৃথিবী অর্থাৎ স্মৃষ্টিকে জীবরূপে কল্পনা এবং তাহাতে বুদ্ধিশক্তির অস্তিত্ব আরোপ করিয়া থাকে। তাহীদের মতে, আদিতে একতত্ত্ব (Monad) মাত্রের অস্তিত্ব ছিল | একতত্ব হইতে দ্বিত্ব (Duad), দ্বিত্ব হইতে সংখ্যা (অর্থাৎ ব্যষ্টিত্ব ), এবং সংখ্যা হইতে রেখা (অর্থাৎ ব্যষ্টি আকৃতি), ইত্যাদির পরিপাক ও উন্নতি পরম্পরায়, এই স্থষ্টি এতাদৃক প্রকাশমান হইল। কথিত আছে যে, গ্ৰীকতত্ত্ববিদ্বদিগের মধ্যে অনাক্ষগোরাসই প্রথমে ভূতে চৈতন্যের কল্পনা করেন । তাহার বিশ্বাস এই ছিল যে, যাবতীয় পদার্থ আদিতে যদৃচ্ছ ক্ষিপ্ত-বিক্ষিপ্ত ছিল, শেষে চৈতন্ত স্বতঃ উদয় হইয় তাহাদিগকে নিয়মানুবপ্তিতায় আনিয়া শৃঙ্খলাবদ্ধ করে। ক্রিসপোস্, আপলোডোরোস পোসিদোনিয়স প্রভৃতি তত্ত্ববিদ্রদিগের ধারণা এই যে, জড়জগৎ জড় নহে ; উহা গুণজ্ঞান ও চৈতষ্ঠাদিসম্পন্ন মহাজীব এবং মানবীয় চৈতষ্ঠ বা আত্মা সেই মহাচৈতন্তের খণ্ডৰূপ । এখানেও পুনঃহিন্দু শ্রুতুক্ত সমষ্টি ও ব্যষ্টি তত্ত্বের কিঞ্চিৎ সাদৃপ্ত দেখিতে পাওয়া যায়। জিনোর শিষ্যবর্গের কহিয়া থাকে যে, আদিতে সকৰ্ম্মক (active) এবং অকৰ্ম্মক ( passive) এই বিবিধ শক্তির