পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રર éौक e হিন্দু। বিষয় লইয়া পৰ্য্যবসিত হইয়াছে। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যাহা, তাহ সাধারণতঃ কৰ্ম্মকাও লইয়া, এবং মোক্ষবিষয়ক যাহা, তাহা সাধারণতঃ জ্ঞানকাও লইয়া । মোক্ষবিষয়ক তত্ত্বগ্রন্থ অনেক, কিন্তু তাহারা যে যত বিভিন্ন শ্রেণীর হউক এবং যে যত বিভিন্ন পথে প্রস্থান করুক, উদ্দেশ্য এবং শেষ ফল সকলেতেই প্রায় এক ; সেই উদ্দেশ্য মোক্ষ এবং শেষ ফল মোক্ষসাধনের উপায় স্বরূপ যোগের প্রয়োজনীয়তা ও যোগ। উদ্দেশু এবং শেষ ফল সকলেতে একবিধ হওয়ায়, হিন্দুতত্ত্ববিদ্যায় কেমন যেন একটা একঘেয়েপণ আসিয়া যুটিয়াছে। তবে কি না, সে একঘেয়েপণা অপবাদের উত্তরে, হিন্দুতত্ত্বের সপক্ষবাদীরা এই কথা বলিতে পারে যে, সত্যস্বরূপ যাহা তাহা লোক রুচির খাতির করিতে গিয়ী পৃথক্ আকার ধরিতে পারে না ; সত্যের আকার এক, অপরিবর্তনীয় এবং নিত্য, সুতরাং সেই সত্য লইয়া আলোচনা করিতে গেলে একঘেয়েপণা কাজেই অপরিহার্য্য হইয়া উঠে। সপক্ষবাদীদিগের এই উত্তর কতদূর যে সার্থক বা তদন্ততর, তাহ পাঠকের নিজ নিজ বুদ্ধি ও মতি গতি অনুসারে অৰধারণ করিয়া লইবেন। ভারতে দর্শনপ্রাণ তত্ত্ববিদ্যার মধ্যে ষড়দর্শনই প্রধান ! তন্মধ্যে বেদান্তদর্শন সম্পূর্ণ শ্রেীত ধর্মের আশ্রয়ে এবং অবলম্বনে নিৰ্ম্মিত । শ্রুতিতে যাহা আদেশিত, দর্শনযোগে বেদান্তে তাহাই প্রতিষ্ঠাপিত হইয়াছে। এজন্ত শ্রুতির সহযোগে একমাত্র এই দর্শন, ধৰ্ম্মার্থে দত্তজীবন ব্যক্তিবর্গের দ্বারা গৃহীত ও অনুস্থত হইয়া থাকে। (৩৫) অপরাপর (৩৫) ভারতীয় তত্ত্বসংসায়ে বেদাস্তদর্শন যতটা প্রভুত্ব করিয়াছে, সাস্থ্যের প্রভুত্ব যে তাহ অপেক্ষ কিছু কম, তাহা নহে। কিন্তু বেদান্তদর্শনের প্রভুত্ব যেমন সাক্ষাৎ সম্বন্ধে, সাথ্যের প্রভুত্ব সেরূপ সাক্ষাৎ সম্বন্ধে নহে। উহা, নাস্তিকতা ভাবের কতকটা আভাস হেতু, প্রকাশ্যরূপে অধিক গৃহীত হয় নাই